বাংলাদেশকে ভারত সব সময় চায় চাপের মুখে রাখতে। কারণ তারা চায় বাংলাদেশ থেকে অর্থ নিতে কিন্তু অর্থ দিতে চায় না। তারা যত ধরনের ইমপোর্ট এক্সপোর্ট এর বিজনেস হয় এর মধ্যে বাংলাদেশ কিন্তু ইমপোর্ট বেশি করে কিন্তু এক্সপোর্টের তুলনায় বাংলাদেশ একদমই পিছে। ভারত কখনো চায় না বাংলাদেশে তারা কোন জিনিস এক্সপোর্ট করে নিয়ে আসুক বাংলাদেশ থেকে অর্থাৎ বাংলাদেশের টাকা তারা শুধুমাত্র নিতে চায় কিন্তু দিতে চায়না। এছাড়াও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রয়েছে অফুরন্ত ভান্ডার বা অর্থের খনি বলা যেতে পারে। এখান থেকে তারা চায় সু কৌশলে বিভিন্ন প্রজেক্ট ব্যবহার করে তারা অর্থ নিয়ে থাকে। কিন্তু এমন কোন ধরনের প্রযুক্তি আছে যেটা বাংলাদেশ থেকেঅপু উপার্জন করছে? উত্তর হবে না। ভারত কখনো চায় না অন্য দেশ ভারত থেকে টাকা নিয়ে যাক এটাই আসলে বাস্তব। তারা দিতে জানে না কিন্তু নিতে ঠিকই জানে।
আর এই সম্পর্ক বাংলাদেশ যখন বুঝতে পারে যে ভারত থেকে আমরা কিছু পায় না বরঞ্চ ভারত বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণ অর্থ নিয়ে যায়!তখন ভারতের বিরোধীতা করতে শুরু করে সাধারণ জনগণ। এছাড়াও বাংলাদেশের অনেক বেকার চাকরি পাচ্ছে না। তারা মূলত সেই সকল স্থানগুলি দখল করে নিয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের সকল ছাত্র-জনতা এক হয়ে লড়াই করছে ভারতের বিরুদ্ধে। তারা চায় ভারতকে বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত করতে। হয়তো ভাবছেন যে এক্সপোর্ট বাংলাদেশ অধিক পরিমাণ ভারত থেকে করে থাকে এ কথা সত্য হলেও বাংলাদেশ কিন্তু ভারতের মুখাপেক্ষী নয়। টাকা হইলে যে কোন দেশ থেকে আমরা পূর্ণ নিয়ে আসতে পারি। সেটা হোক পেঁয়াজ রসুন আদা ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভারত বাংলাদেশ থেকে শুধু তাদের স্বার্থ হাসিল করে নিতে চায়। এছাড়াও ভারত বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছাড়িয়ে বাংলাদেশকে কোণঠাসা করতে চায়। তারা মূলত বেশিরভাগ সময়ই একটাই বিষয় দাঁড় করায় সেটা হল সংখ্যালঘু। মূলত সংখ্যালঘু তারা হিন্দুদেরকে বোঝায়। যে বাংলাদেশে হিন্দুরা অনেক নির্যাতিত। মূলত বাংলাদেশে হিন্দুরা অনেক সুখে শান্তিতে রয়েছে। বাংলাদেশের এমন কোন সেক্টরগুলোতে নাই যেগুলো হিন্দুরা দখল করে নেই। পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সকল ধরনের কার্যক্রমে বড় বড় পদে হিন্দুরাই এ দেশ দখল করে রেখেছে। অথচ মুসলিমরা কিন্তু সে দিক থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। বলা যায় মুসলিমরাই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু হয়ে বসবাস করছে। অথচ বাংলাদেশ 90 ভাগই মুসলিম। অথচ মুসলিম দেশ হয়েও তারা মুসলিমের মত করে চলতে পারে না।
বাংলাদেশ মূলত ৭১ সালের পর থেকেই ভারতের গোলামী করে যাচ্ছে। নিজে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে কখনোই পারতেছে না। কারণ ভারত তাকে নানা ধরনের চাপের মুখে রাখছে এবং তারা তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এই দেশে ১৯৭১ সালে দেশটাকে বিভক্ত করেছিল। মূলত বাংলাদেশ যেন তারা সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটা দেশ সকলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই দেশটাকে চেটেপুটে খাবে এটা আসলে জনগণ কখনোই মেনে নিতে পারে না। যেটা ভারত মূলত করে আসছে। ওর দিক থেকে বিবেচনা করলে বলা যায় ভারত একটি চোষক দেশ। যা বাংলাদেশকে যোগের মতো চুষে খাচ্ছে।