বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কি কি

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ অনেকগুলো রয়েছে। সাধারণত এর মধ্যে বিশেষতঃ নীল মাটি, উত্তর-দক্ষিণ সমুদ্র, নদী ও হাওর, বন, বাঁশ, বনবাসী প্রাণী, বৃক্ষ, পাখি ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও বাংলাদেশে ধানের উন্নত উত্পাদন, জুট ও পাটের মত প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কি কি

নিচে কিছু প্রাকৃতিক সম্পদের সাথে সংক্ষেপে পরিচিতি দেয়া হলো:

  • নীল মাটি: বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নীল মাটি। এটি উপযুক্ত উর্বর মাটি যা ধান চাষের জন্য উপযুক্ত হয়। বাংলাদেশ একটি ধানপ্রধান দেশ এবং নীল মাটি এর মাধ্যমে ধান উৎপাদন হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • উত্তর-দক্ষিণ সমুদ্র: বাংলাদেশ উত্তরে হিমালয় পর্বতমালায় হতে নেমে দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে মিশে যায়। এই উত্তর-দক্ষিণ সমুদ্র বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। এটি দেশের মাছ সমৃদ্ধ সমুদ্রসৈকতিক অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক উন্নবাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদ কিছুটা এমনভাবে অবদান রাখে:
  • বিভিন্ন নদী ও হাওর: বাংলাদেশে বহুতল নদী ও হাওর অবদান রাখে, যেগুলো পানি, মাছ, টাঙা, খাসির চামড়া, পানির পতাকা ইত্যাদি সরবরাহ করে। বাংলাদেশের মধ্যে ব্রহ্মপুত্র, গঙ্গা, মেঘনা, জমুনা, কর্ণফুলি, তিতাস, সুরমা, কাবেরি, মহানন্দা, মেঘনা, ধালাই, কপতাই, তেতুলিয়া ইত্যাদি অন্যান্য নদী রয়েছে।
  • বনস্থল: বাংলাদেশে বনস্থল প্রাকৃতিক সম্পদের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বনস্থল ব্যতিক্রমী প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে কাজ করে এবং তার মাধ্যমে অপরিহার্য পরিবেশ সেবা ও অক্সিজেন প্রদান করে। সুন্দরবন, রাঙামাটি পাহাড়, খাগড়াছড়ি পাহাড়, সিলেট পাহাড় ইত্যাদি বাংলাদেশের পরিচিত বনস্থল।
  • বাঁশ ও বৃক্ষ: বাংলাদেশে বাঁশ ও বৃক্ষ একটি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য। বাঁশ বিভিন্ন উপকারিতা দিয়ে থাকে, যেমন গাছের স্বাভাবিক রং এবং উচ্চ গুণমানের কাঠ পেতে সাহায্য করে। বাংলাদেশে সুন্দরবন, বন্যার বৃক্ষসমূহ, কাচঁ বাঁশ, মাধবী বাঁশ, তেল গাছ, ইত্যাদি বাংলাদেশের পরিচিত।
  • পাখি: বাংলাদেশ একটি পাখির সমৃদ্ধ দেশ। দেশে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বাস করে, যেমন দোয়েল, ময়না, ধলা, কাঠবাড়িয়া, নীলকণ্ঠ, কবুতর ইত্যাদি। এদের সাথে সাথে বাংলাদেশের পাখিপুঞ্জ প্রশস্ত হয়েছে এবং পাখিগুলো বিভিন্ন নদী, হাওর, বনস্থল এবং প্রাকৃতিক অঞ্চলে উদ্ভাসিত হয়।
  • ধান ও জুট: বাংলাদেশে ধান একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। ধান হলো দেশের প্রধান খাদ্য উৎপাদনকারী ফসল। বাংলাদেশে প্রতিবছর অনেক মানুষের পেটে ধান চলে যায় এবং এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। জুটও একটি প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য, যা পাট থেকে তৈরি হয়। বাংলাদেশে পাটের উন্নয়নের মাধ্যমে বস্ত্র ও কাগজের উৎপাদন হয়।

এগুলো মাত্র কিছু উদাহরণ, আরো অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ আছে বাংলাদেশে, যা দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের অনমনীয় সম্পদ গণ্য।

আপনি বাংলাদেশের অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ সম্পর্কে আরও বলতে পারেন?

বাংলাদেশে অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর মধ্যে নিম্নলিখিত কিছুই উল্লেখযোগ্য:

  • নদী ও হাওর: বাংলাদেশ প্রধানতম নদীর দেশ। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, জমুনা, কর্ণফুলি ইত্যাদি অনেকগুলো প্রধান নদী বাংলাদেশে পাওয়া যায়। এছাড়াও দেশে অনেক হাওর রয়েছে, যেগুলো পরিবেশের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং সম্পদ সম্পন্ন বিভিন্ন জীবজন্তুদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহার হয়।
  • বন ও অঞ্চল: বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকারের বনস্থল ও অঞ্চল রয়েছে, যেগুলো দেশের পরিবেশে বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করে। সুন্দরবন, হাকালকি, সিলেট পাহাড় এমন কিছু স্থান যেখানে প্রাকৃতিক বনস্থল এবং বন্য জীববৈচিত্র্য পাওয়া যায়।
  • বনস্থল (Forests): বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকারের বনস্থল রয়েছে। সুন্দরবন, বন্যারামারী, রাঙ্গামাটি হিলট্র্যাক, স্লো টিগার প্রেজার্ভ এলাকা ইত্যাদি বনস্থল দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ হিসেবে গণ্য। এদের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কাঠের উৎপাদন, বনস্থল প্রতিবেশী প্রাণী-পাখির আবাস এবং পর্যটন উন্নয়ন সম্ভব হয়।
  • জলাধার (Water Bodies): বাংলাদেশ একটি জলাধার-মত দেশ, যেখানে বিশাল সংখ্যক নদী, হাওর, হাওরবন ও বিল রয়েছে। গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা, তিস্তা, কাবেরি ইত্যাদি নদীগুলো দেশের মানসিক ও অর্থনৈতিক জীবনের অস্তিত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও দেশে বিভিন্ন হাওর, হাওরবন ও বিলে অনেক প্রজাতির জীবজন্তু ও মাছ বাস করে।
  • গ্যাস ও তেল (Gas and Oil): বাংলাদেশে প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেলের সম্ভাবনা রয়েছে। সিলেট ও ভূপুত্র অঞ্চলে গ্যাস খনন কাজ চলছে এবং তেল খননের জন্য কিছু উপকূল খনন করা হয়। এই উৎপাদনকারী কাজ দেশের শক্তি স্বায়ত্তশাসিত করে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • জলবায়ু (Climate): বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণতঃ গরম ও শীতল দুটি ঋতুতে ভাগ করা হয়। দেশের অধিকাংশ অংশে উষ্ণ ও মানসুনী জলবায়ু প্রচলিত। বৃষ্টিপাত উচ্চ এবং মাঝারি এলাকায় অনেক হয় এবং এর ফলে দেশে প্রাকৃতিক জলাবদ্ধতা একটি সাধারণ প্রশ্ন হয়ে উঠছে।
  • মাটি ও খনিজ (Soil and Minerals): বাংলাদেশের মাটি উপযুক্ত ফসল চাষের জন্য খুবই উপযুক্ত। দেশে বিভিন্ন প্রকারের মাটি রয়েছে, যেমন বালুশি, কাটিবালু, কাংখর, লাটেরিট, গার্নেট, লাইমস্টোন, চুন ও অন্যান্য খনিজ। এদের মাধ্যমে মাটির উর্বরতা বাড়ানো হয় এবং খনিজ সম্পদ উত্পাদনে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

এগুলো মাত্র কিছু উদাহরণ, বাংলাদেশে আরও অনেক প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে যা দেশের উন্নয়ন ও প্রকৃতি সম্পর্কিত বিভিন্ন কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post