হুপিং কাশি কি ? কারণ ও বিপর্যয়

হুপিং কাশি হল একটি ঝামেলাজনক কাশি যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এটি সাধারণত একটি ভাইরাল ইনফেকশন দ্বারা উত্পন্ন হয় এবং এর লক্ষণগুলি সাধারণত হল একটি উচ্চতর কাশি যা কয়েক সেকেন্ড বা কিছু মিনিট পর্যন্ত চলতে পারে। হুপিং কাশির লক্ষণগুলি নিম্নলিখিত হতে পারে:

  • উচ্চতর কাশি যা সাধারণত 10-20 সেকেন্ড বা কিছু মিনিট ধরে চলতে পারে।
  • কাশি দেওয়ার সময় শ্বাসতন্ত্রের কাছে শব্দ উত্পন্ন হয়।
  • কাশি দেওয়ার পর একটি গভীর সাঁতার শব্দ উত্পন্ন হয়।
  • হুপিং কাশি সাধারণত রাতে বা সকালে বেশি ঘটে থাকে।

হুপিং কাশি একটি সাধারণ রোগ হলেও সেটি কিছু সময় ভাইরাল ইনফেকশন এবং ফুসফুসের সমস্যার কারণ হতে পারে এবং এর কারণে কিছু সমস্যা উত্পন্ন হতে পারে।

হুপিং কাশি কি  কারণ ও বিপর্যয়

তাই যদি এই লক্ষণগুলি দেখা দেওয়া হয় তবে সেখানে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত।

হুপিং কাশি কমানোর জন্য ১০ টি সহজ উপায়

হুপিং কাশি কমানোর জন্য কিছু সহজ উপায় নিচে দেওয়া হলো:

১. পর্যাপ্ত আরাম ও ঘুম নিন।

২. খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করে কাশি কমানো যাবে।

৩. স্টিম ইনহেলার ব্যবহার করে হাঁচি ও কাশি কমানো যাবে।

৪. ব্যস্ত এলাকায় বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকুন। হুপিং কাশি একটি ভাইরাল ইনফেকশন যা একজন থেকে অন্যজনের মাধ্যমে ছড়িত হয়।

৫. ঘরের ভিতর একটি কম ধূমপান ও আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য সর্তক হোন। একজন নিউমোনিয়া বা অন্য ফুসফুস সমস্যা রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকুন।

৬. রোগীর মুখ, নাক এবং আঙ্গুল সমূহ থেকে যত সম্ভব দূরে থাকুন এবং সাবান এবং পানি দিয়ে সেই অংশগুলি পরিষ্কার করুন।

৭. ঘরের ভিতরে হাইড্রোজেন পেরকারবনাট ব্যবহার করুন। এটি বায়ুর শুদ্ধতার জন্য সাহায্য করে।

৮. একটি গরম চা বা সুখা পানীয় স্বাদ যুক্ত করে কাশি কমানো যাবে।

৯. মিনিমাম কথাচ্ছন্নতা মেনে চলুন। কথা বলার সময় বেশি উচ্চ শব্দে না বলুন।

১০. বেশিরভাগ সময় হাত ধোয়া এবং কাশি দিয়ে মুখ ঢাকা উচিত।

সেইসম্পূর্ণ হাইজিন মেনে চলা উচিত যাতে আপনি এবং আপনার পরিবারের সুরক্ষিত থাকেন। আপনি যদি হুপিং কাশি বা অন্য কোনও সমস্যা সম্পর্কে চিকিৎসা প্রদানের প্রয়োজন মনে করেন তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকে দেখানো উচিত।

হুপিং কাশির প্রভাব ও মার্জিনাল রিটার্ন: চিন্তা করার চেষ্টা

হুপিং কাশি একটি ভাইরাল ইনফেকশন যা সাধারণত শিশুদের মধ্যে দেখা যায়। এর লক্ষণগুলি উচ্চতর কাশি, হাঁচি এবং দাঁতপ্রদান অথবা হাঁচির পর গভীর সাঁতার উত্পন্ন করা যেতে পারে।

হুপিং কাশি সাধারণত একটি সাধারণ রোগ হলেও এর কিছু ঝুঁকি রয়েছে, যেমন ক্ষতিকর হতে পারে এবং এর কারণে অন্যান্য ফুসফুস সমস্যা হতে পারে। সাধারণত এই রোগটি মানসিক অস্বস্তির কারণে লোকের জীবনে ঝাঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং অনেক সময় শিশুদের জীবন ব্যবস্থা করা হতে পারে।

হুপিং কাশি সম্পর্কে যদি আপনি চিন্তা করছেন তবে এর প্রভাব এবং মার্জিনাল রিটার্ন সম্পর্কে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি বিবেচনা করতে পারেন:

প্রভাব:

  • হুপিং কাশি আক্রান্ত ব্যক্তির ফুসফুস প্রণালীতে সমস্যা উত্পন্ন করতে পারে এবং এর কারণে হাঁচি ও কাশি বেশি হতে পারে।
  • হুপিং কাশি একজন আক্রান্ত ব্যক্তির মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
  • একজন নিউমোনিয়া বা অন্য ফুসফুস সমস্যা রোগীর কাছ থেকে হুপিং কাশি রোগীর সম্পর্কেঅবশ্যই দূরে থাকা উচিত। এছাড়াও হুপিং কাশি আক্রান্ত ব্যক্তির মাথার চুল পড়াতে পারে এবং রোগটি সম্প্রচারের কারণে স্কুল এবং অন্যান্য সার্বজনীন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

মার্জিনাল রিটার্ন:

  • হুপিং কাশি সাধারণত একটি সেলফ-লিমিটেড রোগ হওয়ার কারণে এর মার্জিনাল রিটার্ন সাধারণত সামান্য হয়।
  • সাধারণত বেশিরভাগ মানুষ হুপিং কাশি থেকে পূর্ণ সুস্থ হয় এবং কোনও সাথে সাথে কোনও অসুস্থতা দেখা দেয় না।

তবে একজন রোগীর ক্ষেত্রে হুপিং কাশি প্রভাবিত হওয়া থেকে অন্য শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি থাকে। এছাড়াও হুপিং কাশি রোগীর পরিচয় না থাকলেও সে রোগীর নিকট থাকা সম্ভবত আক্রান্ত হতে পারেন।

সারাদিন ফুসফুস সমস্যা রোগীর কাছ থেকে দূরে থাকা ও সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া এবং মুখ ঢাকা সহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত। যদি আপনি বা আপনার পরিবারের কেউ হুপিং কাশি রোগী হন তবে সম্পর্কিত চিকিৎসা পেতে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

হুপিং কাশি সঠিকভাবে চিকিৎসা করবেন যেভাবে?

হুপিং কাশি চিকিৎসা করা হলে প্রাথমিকভাবে রোগীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং সেই সময় পর্যন্ত সম্পর্কিত চিকিৎসার সাথেও যোগাযোগ থাকতে হবে। নিম্নলিখিত বিষয়গুলি চিকিৎসার সময় মনে রাখা উচিত:

  1. প্রাথমিক চিকিৎসা: হুপিং কাশি রোগীর সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া, সম্পর্কিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং রোগী সম্পর্কে সব তথ্য সংগ্রহ করা হবে। রোগীর ফুসফুস পরীক্ষা করে রোগের নির্দেশিত চিকিৎসা করা হবে।
  2. প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসমূহ: হুপিং কাশি রোগীদের প্রথমেই একটি ডায়াগনোস্টিক টেস্ট করা হবে যাতে নিশ্চিত হতে পারি রোগটি হুপিং কাশি না অন্য কোন রোগ না। এছাড়াও রোগীর ফুসফুস পরীক্ষা এবং রোগীর স্বাস্থ্য বিবরণী লেখা হবে।
  3. চিকিৎসার পদক্ষেপ: হুপিং কাশি রোগীর জন্য প্রথম চিকিৎসার পদক্ষেপ হল একটি এন্টিবায়োটিক দ্বারা রোগ নির্মূল করা। এছাড়াও ফুসফুস পরীক্ষা করে রোগ নির্দেশিত চিকিৎসা করা হবে। রোগীর উপস্থিতিতে থাকা এবং রোগটি সম্প্রচারের ঝুঁকিতে চিকিৎসা করার জন্য পরিবেশ প্রতিকূল করা হবে। হুপিং কাশি রোগী সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে রোগটি সম্প্রচারের ঝুঁকি কমানো হবে।
  4. বিশেষজ্ঞের পরামর্শ: সম্পর্কিত চিকিৎসার জন্য হুপিং কাশি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। রোগীর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
  5. টিকা: হুপিং কাশি রোগ প্রতিরোধ করার জন্য টিকা প্রদান করা হয়। রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর ও টিকা দেওয়া যেতে পারে।

সম্পর্কিত চিকিৎসা সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করে সেই তথ্য মেনে চলা হলে হুপিং কাশি রোগ চিকিৎসার সম্ভাবনা বেশি হয়।

হুপিং কাশির প্রভাব: শরীরে কি প্রক্রিয়া এবং গুরুত্বপূর্ণ কি?

হুপিং কাশি একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ যা বাক্সিলাস পেরটুসিস নামে পরিচিত। এই রোগটি হুপিং কাশি বা কুষ্ঠি নামেও পরিচিত। রোগটি একটি ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের ফলে হয় এবং এটি বিষণ্ণতা, শ্বাসকষ্ট এবং কাশির মাধ্যমে ছড়িয়ে ফেলে।

হুপিং কাশি রোগের প্রভাব দ্বারা শরীরে কিছু প্রক্রিয়া চলতে থাকে, যা নিম্নলিখিতগুলি হতে পারে:

  • সংক্রমণ: হুপিং কাশি রোগ বাক্সিলাস পেরটুসিস নামক একটি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ দ্বারা ছড়িয়ে ফেলা হয়। এই সংক্রমণ হয় বাক্সিলাস পেরটুসিস ব্যাকটেরিয়ার হাঁটু থেকে শ্বাসকশে প্রবেশ করে।
  • শ্বাসকশের প্রভাব: হুপিং কাশি রোগের প্রভাবে শ্বাসকশ প্রভৃতির সংক্রমণ দেখা যায়। শ্বাসকশ প্রভৃতির প্রভাবে শ্বাসকশ সংকোচন করে, যা শ্বাসকশের পাশের মাংসপেশীকে আঘাত করে।
  • কাশির প্রভাব: হুপিং কাশি রোগের প্রভাবে বেশিরভাগ কাশি হয়। উচ্চতর কাশির সাথে একটি হাঁটুদি শব্দ উত্পন্ন হয় যা হুপ নামে পরিচিত। এই কাশি দ্বারা ব্যক্তি রোগটি ছড়িয়ে ফেলে।

এইতোমধ্যে উল্লিখিত প্রক্রিয়ার ফলে হুপিং কাশি রোগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব হতে পারে যেমন:

  • শ্বাসকশ সংকোচন এবং শ্বাসকশসংক্রমণ: হুপিং কাশি রোগের প্রভাবে শ্বাসকশ সংকোচন এবং শ্বাসকশসংক্রমণের ফলে শ্বাসকশের কাজ বিকল্প হতে পারে। এটি ফেফড়ার প্রভাবও হতে পারে।
  • উচ্চতর কাশি: হুপিং কাশির প্রভাবে উচ্চতর কাশি হয় যা কিছুটা অস্থিরতা এবং সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
  • শ্বাসকশ সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণ: হুপিং কাশি রোগের প্রভাবে শ্বাসকশ সংক্রমণের ফলে নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণ হতে পারে।
  • শিশুদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে: হুপিং কাশি রোগ শিশুদের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে এবং এটি শিশুদের মৃত্যুও সম্ভব।

সারসংক্ষেপে বলতে গেলে, হুপিং কাশি রোগ শরীরে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের ফলে শ্বাসকশ সংকোচন হয় এবং উচ্চতর কাশি হতে পারে যা নিউমোনিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণের ফলে পরিণত হতে পারে। এই রোগ শিশুদের জ

কাশি নিয়ে সতর্ক: হুকুম ও সংরক্ষণের উপায় নিন।

কাশি হল একটি সাধারণ রোগ যা অনেকের দেহে আক্রান্ত হয়। এটি একটি ছারছারে শব্দের সাথে সম্পর্কিত হয় এবং এর মাধ্যমে ব্যক্তি সমাজে ছড়িয়ে ফেলতে পারে অনেক সময়। কাশি একটি সমস্যা হওয়ার কারণ হতে পারে বিভিন্ন কারণের মধ্যে যেমন জ্বর, সর্দি, এলার্জি বা ব্যক্তিগত কারণ।

কাশি নিয়ে সতর্ক হওয়া উচিত এবং নিম্নলিখিত উপায়গুলি অনুসরণ করা উচিত:

  1. হাইজিন ও মাস্ক পরিধান করুন: কাশির সময় হাইজিন মেনে চলা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কাশি করছেন তবে নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে আর অন্যকে আক্রান্ত করা না হয়। এছাড়াও মাস্ক পরিধান করা উচিত যা কাশির সময় সম্ভবত সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে।
  2. স্বাস্থ্যকর খাবার খান: স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। এটি আপনার শরীরের প্রতিরোধ বাড়ানো সাহায্য করবে।
  3. সময়ে সময়ে হাঁচি ও কাশি করা: যখন আপনি হাঁচি বা কাশি করতে হবে, তখন আপনার মাথা একটি টিস্যু বা হ্যান্ডকার্চিফ দিয়ে ঢাকতে হবে। এটি আপনার সঙ্গে আক্রান্ত করা হয় অন্যাক্ট বস্তুগুলি থেকে সংক্রমণ স্পর্শ হওয়া সম্ভবত সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে।
  4. আপনার হালকা কাশি দূর করুন: যদি আপনার কাশি হালকা হয় তবে আপনাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা দূর করতে হবে। সেই উদ্দেশ্যে গরম পানি ও হালকা খাদ্য খেতে পারেন যা আপনার কাশি ভাবগুলি প্রশমিত করবে।
  5. পরিষ্কার ও শুষ্ক মাহুরী বাড়িতে বসান: কাশি রোগীর জন্য একটি পরিষ্কার ও শুষ্ক মাহুরী বাড়িতে বসান খুব গুরুত্বপূর্ণ। এটি ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনার সমস্যার উপস্থাপন করবে এবং জল-পানির ব্যবহারও নির্দেশ করবে।
  6. ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলুন: কাশি নিয়ে সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।

এই উপায়গুলি কাশি রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করবে। কিন্তু যদি আপনি কাশি রোগ সম্পর্কে কোনও সমস্যা অনুভব করেন, তবে সমস্ত কাশি রোগীদের জন্য সাবধানতার সাথে মাস্ক পরিধান করা উচিত এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

হুপিং কাশি থেকে মুক্তি: স্বাস্থ্য চিকিৎসা পদ্ধতি

হুপিং কাশি হল একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ যা শিশুদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় রোগ। এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দুটির মাধ্যমে ছড়িয়ে ফেলা হয়। এটি শিশুদের শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা উত্পন্ন করে এবং এর মাধ্যমে অনেক সময় মৃত্যু হতে পারে।

হুপিং কাশি থেকে মুক্তি পেতে নিম্নলিখিত চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করা উচিত:

  • হুপিং কাশি টিকা: হুপিং কাশি রোগ প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি হল হুপিং কাশি টিকা দেওয়া। এই টিকা শিশুদের বয়সে ২ মাস পর দেওয়া হয় এবং তারপর প্রতিটি বৎসরে একটি পূর্ণ টিকা দেওয়া হয়।
  • প্রতিরোধাবস্থা সংক্রমণ বাতিল করা: হুপিং কাশি রোগ একটি সংক্রমণজনিত রোগ যার সংক্রমণ বাতিল করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুস্থ ব্যক্তির নিকট এবং আক্রান্ত ব্যক্তির নিকট থাকা উচিত।
  • প্রাথমিক চিকিৎসা: শিশুদের যখন হুপিং কাশি রোগে আক্রান্ত হয় তখন শুরুতে প্রাথমিক চিকিৎসা করা উচিত। এটি রোগের লক্ষণ এবং বিনামূল্যে উপকারী চিকিৎসা বিনিয়োগ করে।
  • ঔষৎসগুলি: হুপিং কাশি রোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য কিছু ঔষধ প্রদত্ত হয়। এই ঔষধগুলি একটি কাশি সাপেক্ষ আবহাওয়া থেকে শিশুদের উপকার করতে পারে।
  • নিয়মিত পরীক্ষামূলক চিকিৎসা: হুপিং কাশি রোগ সাধারণত শিশুদের মধ্যে সহজসঙ্গে ছড়িয়ে ফেলে এবং এর প্রতিরোধ সম্ভব। তবে নিয়মিত পরীক্ষামূলক চিকিৎসা করা উচিত যাতে শিশু স্বাস্থ্যকর থাকে এবং কোন রোগ উঠে না আসে।

এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি হুপিং কাশি রোগ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করবে। তবে এই চিকিৎসা পদ্ধতিগুলি কেবলমাত্র একটি স্বচ্ছ ও স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখলেই শিশুর সম্ভবত হুপিং কাশি রোগ থেকে বাঁচা যাবে।

হুপিং কাশি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ও পরিপাক করা

হুপিং কাশি হল একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ যা শিশুদের মধ্যে সংক্রমণজনিত রোগ। অনেক সময় এই রোগটি খাদ্য ও পরিপাকের মাধ্যমে ছড়ায়। তাই হুপিং কাশি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ও পরিপাক করা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ অনুসরণ করে হুপিং কাশি নিয়ন্ত্রণে খাদ্য ও পরিপাক করা উচিত:

  1. স্বাস্থ্যকর খাদ্য: স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া হুপিং কাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যকর খাদ্যের মধ্যে ফল এবং শাক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তবে আম, মসুর ডাল, পালং শাক এবং মাছ এমন খাদ্যগুলি যা উষ্ট বা শীতল তাপমাত্রার হয় না তা খাওয়া উচিত।
  2. দুর্গন্ধহীন খাদ্য: হুপিং কাশি রোগ ছড়ায় দুর্গন্ধহীন খাদ্য খাওয়া উচিত। গরম ও দুর্গন্ধযুক্ত খাদ্য এবং পানীয় না খাওয়া উচিত।
  3. স্বাস্থ্যকর পরিপাক: স্বাস্থ্যকর পরিপাক হুপিং কাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাবার পরিপাক করার সময় সম্পূর্ণ শুদ্ধতা বজায় রাখতে হবে। খাদ্য পরিপাক করার আগে হাত ধুয়ে নিতে হবে এবং সম্পূর্ণ পরিপাক করার সময় স্থান ও উপকরণ শুদ্ধ রাখতে হবে। আগে পরিপাক করা খাদ্য না খাওয়া উচিত।
  4. স্বাস্থ্যকর পানীয় খাবার: স্বাস্থ্যকর পানীয় খাবার খাওয়া হুপিং কাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে খুব গুরুত্বপূর্ণ। পানীয় খাবার হিসাবে পানীয় পদার্থ যেমন পানি, দুধ, স্যান্ডউইচ সমূহ উল্লেখযোগ্য।
  5. নিয়মিত হাত ধুয়ে নিতে হবে: নিয়মিত হাত ধুয়ে না থাকলে হুপিং কাশি রোগ সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। খাদ্য পরিপাক ও খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  6. নিয়মিত জায়গায় পরিস্কারভাবে রাখতে হবে: নিয়মিত জায়গায় পরিস্কারভাবে রাখা উচিত যাতে কোনো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস ছড়াতে না পারে।

এছাড়াও, হুপিং কাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা লাগানো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই টিকা না নেয়া হলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।

হুপিং কাশি কিভাবে ভালো হওয়া যায়: প্রভাব প্রয়োগ

হুপিং কাশি একটি ঝুঁকিপূর্ণ রোগ যা সঠিক প্রভাব প্রয়োগ না করলে ব্যাপক সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। তবে এই রোগটি প্রভাব প্রয়োগ করে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি হুপিং কাশি রোগের বিষয়ে আপনার জ্ঞান বৃদ্ধি করতে পারেঃ

  • টিকা লাগানো: হুপিং কাশি রোগ নিয়ন্ত্রণে টিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। হুপিং কাশি টিকা সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করুন এবং প্রয়োজনে টিকা লাগানোর জন্য সরাসরি ডাক্তারের কাছে যান।
  • নিয়মিত হাত ধুয়ে নিন: নিয়মিত হাত ধুয়ে না থাকলে হুপিং কাশি রোগ সংক্রমিত হওয়া সম্ভব। খাদ্য পরিপাক ও খাবার খাওয়ার আগে এবং পরে হাত ধুয়ে নিতে হবে।
  • নিয়মিত জায়গায় পরিস্কারভাবে রাখুন: নিয়মিত জায়গায় পরিস্কারভাবে রাখা উচিত যাতে কোনো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস ছড়াতে না পারে।
  • নিয়মিত স্নান করুন: নিয়মিত স্নান করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীরে ব্যক্তিগত সফাই বজায় রাখতে পারেন।
  • স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাবার: স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া হুপিং কাশি রোগে আপনার শরীরে সক্ষম হবে এবং আপনার মধ্যে রোগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী ক্ষমতা তৈরি হবে।
  • সময়ে চিকিৎসা নিন: যদি আপনি হুপিং কাশি রোগে ভুগছেন তবে সময়ে চিকিৎসা নিন। ডাক্তারের বিকল্প মতামত অনুসরণ করুন ও নিরাপদ ও প্রভাবশালী চিকিৎসা নেওয়া উচিত।

সর্বশেষে, আপনার হাত ধুয়ে না থাকলে এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরে হুপিং কাশি রোগে আক্রান্ত হওয়াটি সম্ভব। তাই এই সমস্ত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করা উচিত যাতে আপনি এই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী হতে পারেন।

Previous Post Next Post