ইনফ্লুয়েঞ্জা হল একটি ভাইরাল রোগ যা হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট, শিরসপিন্ড ব্যথা, জ্বর, শরীরের ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন লক্ষণের সাথে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপস্থিতির কারণে চরমপর্যন্ত সমস্যার উত্থাপন করে। এই রোগের ভাইরাস বিভিন্ন ধরণের হতে পারে এবং সাধারণত সম্প্রচারিত ভাইরাসগুলি হল ইনফ্লুয়েঞ্জা এ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা বি। এই রোগ বিশেষতঃ জানে উষ্ণতার মৌসুমে বেশি প্রচলিত হয়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে টিকা দেওয়ার গুরুত্ব
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি সম্প্রচারিত এবং ঝুঁকিপূর্ণ ভাইরাস রোগ যা একটি টিকা দ্বারা প্রতিরোধ করা যেতে পারে। একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া হল একটি সাধারণ প্রথম স্বাস্থ্য যোগাযোগ যা ব্যক্তিদের সূক্ষ্মতা বা প্রতিবন্ধী শক্তি উন্নয়ন করে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এর বিভিন্ন ধরণের ভাইরাস থেকে রক্ষা করে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়ার গুরুত্ব একটি দিক থেকে তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্প্রচারের ঝুঁকি কমানো। এছাড়াও, ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্যসেবা এবং প্রতিক্রিয়া প্রদানের খরচ কমানো যেতে পারে যখন ব্যক্তির ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে সুরক্ষিত থাকেন।
সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা প্রতি বছর দেওয়া হয় এবং এটি সম্প্রচারের মৌসুমে দেওয়া হয়। কিছু ব্যক্তি হল যারা ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকার জন্য বিশেষভাবে প্রতিরোধ করা উচিত যেমন যারা বৃদ্ধি বা অন্যান্য অস্থিত্বকর মেধা সম্পন্ন নয়, অসুস্থতা বা অস্থিরতা সম্পন্ন কিংবা বৃদ্ধিশক ব্যক্তিদের।
সর্বমোটকে বলা যায় যে, ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এটি একটি সুরক্ষা উপায় যা এই ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে সাহায্য করতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন অন্বেষণ
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন অন্বেষণ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া যা সেই ভাইরাসের বিভিন্ন ধরণ বা স্ট্রেন নির্ধারণ করে এবং সেগুলি বিশেষভাবে উপস্থিত হওয়ার ঝুঁকি পর্যবেক্ষণ করে। এই পরিক্রিয়া একটি সুসংগঠিত ভাবে কাজ করে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত পুরাতন এবং নতুন পদক্ষেপসমূহ রয়েছে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন অন্বেষণের জন্য ব্যবহৃত প্রক্রিয়াগুলি নিম্নলিখিতঃ
১। ভাইরাল জেনোম সিকুয়েন্সিং: এটি ভাইরাসের জেনেটিক কোড পরীক্ষা করে স্ট্রেন নির্ধারণ করে। এই পদক্ষেপটি ভাইরাসের পরিমাণ এবং বিভিন্ন স্ট্রেনের বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে সহায়তা করে।
২। এন্টিজেনিক চার্জার ক্যাপচার: এই পদক্ষেপটি ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন নির্ধারণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি একটি প্রস্তুত স্লাইডের উপর ভাইরাসের এন্টিজেনিক চার্জার প্রকাশ করে এবং সেই চার্জারগুলি স্ট্রেন নির্ধারণের জন্য পরীক্ষা করা হয়।
৩। সেরোলজিক্যাল টেস্টিং: এটি ভাইরাসের এন্টিবডি উত্পাদন নির্দেশ করে এবং সেই এন্টিবডির উপস্থিতি নির্ধারণ করে। এই পদক্ষেপটি ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেনের বিরুদ্ধে সংগ্রহকৃত এন্টিবডি পরীক্ষা করে তাদের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে।
৪। স্পেকট্রাল ফাইল্ড ইনফ্রারেড স্পেকট্রোস্কোপি (SFIS): এটি ভাইরাসের গঠন ও উপস্থিতি নির্দেশ করে এবং সেই তথ্য ব্যবহার করে স্ট্রেন নির্ধারণ করা হয়।
এই পদক্ষেপগুলি অধিক বিস্তারিত এবং জটিল হওয়া সম্ভব। তবে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিভিন্ন স্ট্রেন নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা সমস্তকে একসাথে রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং এই স্ট্রেন নির্ধারণ করতে সহায়তা করে সঠিক চিকিৎসা পরামর্শ দেওয়া যায়।
ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীগুলিকে ডিবাঙ্ক করা
ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস একটি ব্যাকটেরিয়া নয় বরং এটি একটি ভাইরাস। এটি মানব শরীরে জনসংখ্যার মধ্যে একটি সাধারণ সমস্যা হিসাবে উত্থান করতে পারে। এর প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীগুলি হল ভুল ধারণা এবং প্রচলিত মিথস।
কিছু প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী এবং তাদের সত্যতা সম্পর্কে নিম্নলিখিতঃ
১. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তির মুখ থেকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেই উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে প্রসারিত হয়। এটি একটি ভাইরাস এবং সেই উচ্ছ্বাসের মাধ্যমে প্রসারিত হয় না। বরং এটি হিমের ঠাণ্ডা মৌসুমে আর্দ্র সাধারণ হলোস্ট লক্ষণ প্রদর্শন করে এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে হালকা থেকে গুরুতর মামলার মাধ্যমে উত্থান করতে পারে।
২। ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে বলা হয় যে এটি কেবলমাত্র মানুষকে আক্রান্ত করে। এটি একটি সাধারণ ধাতব প্রাণী সম্পন্ন সমস্ত প্রাণীকে আক্রান্ত করতে পারে।
৩। কিছু মানুষ একবার ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার পর আর কখনই আবার আক্রান্ত হবে না। এটি সম্পূর্ণ ভুল। একবার আক্রান্ত হওয়া একটিমানুষ ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সাথে পুনরাবৃত্তি হওয়া সম্ভব এবং এটি একটি সাধারণ ঘটনা। তবে আবার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে এবং একটি নতুন ভাইরাস উত্পন্ন হতে পারে যা পূর্বে আক্রান্ত হওয়া ভাইরাসের মতো নয়।
এই প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীগুলি সত্যতা নয় এবং এগুলি সাধারণ জনগণের মধ্যে সঠিক জ্ঞান প্রচার করে না। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস একটি বেশ গুরুতর রোগ হতে পারে এবং এর প্রতিরোধ এবং চিকিৎসার জন্য সঠিক জ্ঞান এবং সুষ্ঠু তথ্য প্রয়োজন। সেই জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এবং স্বাস্থ্যবিষয়ক পেজের উপস্থিতি প্রয়োজন।
ইনফ্লুয়েঞ্জা কি নির্দিষ্ট বয়সের জন্য আরও বিপজ্জনক?
হ্যাঁ, ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি বিপজ্জনক রোগ হতে পারে এবং নির্দিষ্ট বয়সের জন্য আরও বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা বয়সের উপর নির্ভর করে না এবং যে কেউ আক্রান্ত হতে পারে, তবে সেই কোনও ব্যক্তির জীবন সম্পর্কে বেশ গুরুত্বপূর্ণ কিছু উল্লেখ করা যায় নিম্নলিখিত হিসাবেঃ
১। শীতকালের মানুষদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। সাধারণত শীতকালের মানুষদের প্রতিরোধক দক্ষতা কম থাকে এবং তাদের শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কম হয়ে থাকে।
২। সন্তানকে নিয়মিত টিকা দেওয়া না হলে ইনফ্লুয়েঞ্জা বিপজ্জনক হতে পারে। সন্তানদের টিকা দেওয়া হলে তাদের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বাড়ে এবং সেই সাথে রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম হয়।
৩। বৃদ্ধদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা বিপজ্জনক হতে পারে। বৃদ্ধদের শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কম থাকে এবং তাদের শরীরের অবস্থা সামান্য কমপক্ষে একটুখানি অস্থির থাকতে পারে।
৪। সম্প্রতি গর্ভবতী মানুষদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা বিপজ্জনক হতে পাওয়া গেছে। গর্ভবতী মানুষদের শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা কম থাকতে পারে এবং একটি নির্দিষ্ট ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা যা গর্ভবতী মানুষদের জন্য বিশেষভাবে বিপজ্জনক হতে পারে।
তাই সাধারণত বৃদ্ধ, শিশুদের সঙ্গে গর্ভবতী মানুষদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়া হয় এবং এই টিকা অবস্থান উপস্থাপন করা হয় সম্ভবতঃ বিপজ্জনক সময়ে। তবে সমস্ত বয়সের মানুষদের জন্য ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে বিরত থাকা একটি ভাল পদক্ষেপ।
ইনফ্লুয়েঞ্জার অর্থনৈতিক প্রভাব: এটি কীভাবে ব্যবসা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করে
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি জনসাধারণের জন্য বিরল নয়। এটি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য পরিস্থিতি থেকে নয়, বরং একটি বৃহত স্কেলের স্বাস্থ্য সমস্যা। এর অর্থনৈতিক প্রভাব ব্যবসা এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করতে পারে।
ব্যবসা প্রভাব:
১। কর্মী অনুদান ছাড়াই অস্থায়ী ছুটির জন্য অনুদান প্রদান করতে হতে পারে। কারণ কোনও ব্যক্তি ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমিত হলে সে অস্থায়ী ছুটি নেওয়া দরকার পড়তে পারে এবং এটি ব্যবসা করার জন্য অনুদান প্রদান করা হতে পারে।
২। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুরক্ষা পূর্ণতা বাড়ানো হতে পারে। কর্মীদের ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুবিধা ও সরঞ্জাম প্রদান করা হতে পারে এবং এটি উন্নয়নশীল ব্যবসা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে পারে।
৩। কোনও ব্যবসার উৎপাদন এবং বিতরণের জন্য কর্মীদের সময় ও সুস্থতা দেখার প্রয়োজন হতে পারে কারণ ইনফ্লুয়েঞ্জার সময় পরিবর্তন পর্যাপ্ত সম্ভাবনা দেওয়া হয় এবং এটি কোনও ব্যবসার কাজের জন্য কর্মীদের পাশে থাকা কঠোর হতে পারে। এছাড়াও ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণের কারণে কোনও ব্যবসা বন্ধ হতে পারে যা অর্থনৈতিক ক্ষতি সৃষ্টি করতে পারে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রভাব:
১। ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ থেকে বাঁচানোর জন্য স্বাস্থ্যসেবা সরঞ্জাম ও উপকরণ প্রদান করা হতে পারে যা রোগীদের চিকিৎসা এবং নিরাপত্তা কে বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২। সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীতে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রদান করা হতে পারে। এটি ভৃত্য ব্যবসা, স্কুল ও বিভিন্ন স্থানে সুরক্ষা প্রদান করতে পারে এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীতে সুস্থতা প্রদান করতে পারে।
৩। সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে ইনফ্লুয়েঞ্জা চিকিৎসা ও সরঞ্জাম প্রদান করা হতে পারে। এটি স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সমর্থন করতে পারে এবং স্থানীয় স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার মধ্যে সংযোগ অন্বেষণ
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া দুটি বিভিন্ন রোগ হলেও এদের মধ্যে সম্পর্ক রয়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাল সংক্রমণ যা নাক-কান এবং গলা এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। নিউমোনিয়া একটি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন যা হচ্ছে রেসপিরেটরি সিস্টেমের সংক্রমণ।
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়া দুটি রোগের সাধারণ লক্ষণ হিসাবে উঁচু জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং শরীরের ব্যথা উল্লেখযোগ্য। এছাড়াও এদের সামান্য সাধারণ লক্ষণগুলি হল স্বাস্থ্যকর খাবার না খাওয়া, শারীরিক দৌড় না করা, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পরিপালনা করা এবং স্বাস্থ্যকর পরিষেবা নেওয়া।
ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার মধ্যে একটি সম্পর্ক হল একজন ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী যখন তার সংক্রমিত নাক-কান বা গলা এলাকায় ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ হয় তখন সে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি একটি বাড়ানো হয়। এছাড়াও একটি ভুল ধারণা যে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী একটি নিউমোনিয়ার রোগী না হয় এবং এদের চিকিৎসা এবং পরিচর্যারপদক্ষেপগুলি একই নয়। এদের চিকিৎসা এবং পরিচর্যার পদক্ষেপগুলি ভিন্ন হতে পারে এবং এদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসার উপায়ের মধ্যে পার্থক্য থাকতে পারে।
ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগীদের চিকিৎসা বিশেষভাবে ভাইরাস থেকে পারত হওয়া উচিত এবং এর জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা সম্ভব নয়। তবে যদি ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগী নিউমোনিয়া হয়ে যায় তবে তার জন্য ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের চিকিৎসার জন্য এন্টিবায়োটিক প্রয়োজন হতে পারে।
নিউমোনিয়ার রোগীদের জন্য চিকিৎসার উপায় বিশেষভাবে ব্যাকটেরিয়া থেকে পরিষ্কার করা ও জীবাণুমুক্ত করা হয়। এটির জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও নিউমোনিয়া রোগীদের জন্য শ্বাসকষ্ট কমানোর জন্য অক্সিজেন থেকে পরিচর্যার পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং নিউমোনিয়ার মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানোর জন্য টিকা গ্রহণ করা উচিত।
ইনফ্লুয়েঞ্জার সাথে মোকাবিলা করা: কার্যকর প্রতিকার এবং চিকিত্সার বিকল্প
ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ভাইরাস সংক্রমণ, যা সম্ভবত নাক-কান এবং গলা এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমিত ব্যক্তির সম্পর্কে সংক্রমিত হতে পারেন। একজন নিরাপদ থাকতে চাইলে তিনি কিছু করতে পারেন যা তাঁকে ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে রক্ষা করবে।
একটি প্রথম পদক্ষেপ হল জরুরী হাইজিন এবং হাত ধুয়ে নেওয়া। এছাড়াও সমস্ত সামগ্রী পরিষ্কার রাখা উচিত, যেমন কার্ড, মোবাইল ফোন, কীবোর্ড, কম্পিউটার মাউস ইত্যাদি। এছাড়াও আপনার কাছে একটি হাইজিন কিট রাখতে পারেন, যা আপনাকে হাইজিন থাকা বস্তুগুলি পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করবে।
আপনি স্বাস্থ্যবান থাকতে এবং আপনার প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধীতাকে উন্নয়ন করতে পারেন যেমন খাবারের সমস্ত বিষয় খান এবং প্রায় সমস্ত সময় হাইড্রেট বা পানীয় পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্রহণ করা। আপনি সমস্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে চেষ্টা করতে পারেন এবং আপনি নিয়মিত ভিটামিন যুক্ত খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন।
আপনি ইনফ্লুয়েঞ্জাসংক্রমণ হলে আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আপনার ডাক্তার আপনাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা টেস্ট করার জন্য নির্দেশ দিতে পারেন এবং সে আপনাকে সম্ভবত একটি এন্টিভাইরাল ঔষধ প্রেস্ক্রাইব করতে পারেন যা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করবে। আপনি পরামর্শ পেতে পারেন যে আপনার দক্ষতার বাইরে কোনও এন্টিভাইরাল ঔষধ নেওয়া উচিত নয়।
আপনি আপনার প্রতিবন্ধীতাকে উন্নয়ন করতে পারেন যেমন রেগুলার এক্সারসাইজ করে ফিট থাকা। আপনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য আপনি যথাযথ শব্দে ঘন ঘন হাঁচি দিতে পারেন এবং নাক পরিষ্কার রাখতে পারেন। আপনি সমস্ত অসুস্থ ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে থাকা এবং হাইজিন পালন করতে একটি উপাদান হিসাবে চিকিত্সার বিকল্প হতে পারে।
সর্বশেষ, আপনি ইনফ্লুয়েঞ্জার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করার জন্য একটি ভ্যাকসিন প্রদান করা হয়। ভ্যাকসিন আপনাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরোধী ক্ষমতা উন্নয়ন করবে এবং আপনাকে সংক্রমণ হওয়া থেকে রক্ষা করবে।
ইনফ্লুয়েঞ্জার জন্য প্রাকৃতিক প্রতিকার: আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি
ইনফ্লুয়েন্জা একটি ভাইরাস সংক্রমণ, যা সম্ভবত নাক-কান এবং গলা এলাকায় সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। একজন স্বাস্থ্যবান ব্যক্তি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমিত ব্যক্তির সম্পর্কে সংক্রমিত হতে পারেন।
আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার যা আপনাকে ইনফ্লুয়েঞ্জা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে। একটি সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এবং প্রাকৃতিক পদক্ষেপ সম্পন্ন করা আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।
নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে:
- পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া: সমস্ত বয়সের লোকের জন্য প্রতিনিয়তই 7-9 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ঘুম নেওয়া আপনার ইমিউন সিস্টেম সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।
- পর্যাপ্ত পানি পান করা: দিনে কমপক্ষে 8 গ্লাস পানি পান করা উচিত। পানি আপনার শরীরের পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে এবং ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- সম্পূর্ণ ও পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করা: আপনার খাবারবিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। পুষ্টিকর খাবার খাওয়া আপনার শরীরের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বা ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফলে সবজি, ফল, গোলমরিচ, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, দই, প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
- ব্যায়াম করা: নিয়মিত ব্যায়াম করা আপনার শরীরের ইমিউনিটি বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং অন্যান্য সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। দৈনিক ব্যায়াম সম্পন্ন করা উচিত, যেমন হাঁটানো, জগিং, সাইক্লিং, স্বিমিং এবং একটি ফিটনেস প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া।
- স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: নিয়মিত স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন সম্পন্ন করা আপনার ইমিউন সিস্টেম বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। তারমধ্যে সময় মত খাবার গ্রহণ করা, নিয়মিত বিশ্রাম নেওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, নিরাপদ জল পান করা এবং নিরাপদ সম্পর্ক রক্ষা করা উচিত।
ইনফ্লুয়েঞ্জা সম্পর্কে প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনীগুলিকে ডিবাঙ্ক করা
ইনফ্লুয়েন্জা সম্পর্কে প্রাচীন কাহিনী ও সম্প্রদায় অনেক প্রচলিত রয়েছে, কিন্তু এগুলি বিজ্ঞান এবং তথ্যের দৃষ্টিতে ঠিক নয়। এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি ডিবাংক করা উচিত এবং সঠিক তথ্যের বিশ্বাস করা উচিত নয়।
একটি প্রচলিত পৌরাণিক কাহিনী হল যে ইনফ্লুয়েন্জা একটি সম্পূর্ণ নতুন রোগ এবং এটি বিশ্বের একটি অদ্ভুত দেহ থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু এই ধারণাটি সত্য নয়। ইনফ্লুয়েন্জা একটি পুরাতন রোগ এবং এর প্রথম উল্লেখ প্রায় ৫,০০০ বছর আগে চীনের প্রাচীন গ্রন্থ ‘যেলোয় এমপেরর ইনফ্লুয়েঞ্জা’ থেকে পাওয়া গেছে।
আরেকটি পৌরাণিক কাহিনী হল যে ইনফ্লুয়েন্জা একটি মানসিক বা জাদুটোনা রোগ এবং এটি কেবল যেসব লোকদের আক্রান্ত করে যারা এর উপর বাধ্য হয়েছে বা এর বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া নিয়েছে। কিন্তু এটি সত্য নয়। ইনফ্লুয়েন্জা একটি ভাইরাস সংক্রমণ এবং এর উপর আক্রান্ত হলে শারীরিক লক্ষণ দেখা দেয়।
একটি অন্যতম পৌরাণিক কাহিনী হল যে ইনফ্লুয়েন্জা সম্পর্কে একটি প্রাকৃতিক বিপদ হিসাবে দেখা হয়। এই কাহিনীতে বর্ষা যাত্রীদের বুকের থেকে একটি কিছু উঠে আসে এবং এটি নাক ও মুখের মাধ্যমে সংক্রমণ ছড়ায়। কিন্তু এটি সত্য নয়। ইনফ্লুয়েন্জা সংক্রমণ হয় যখন আক্রান্ত ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর শ্বাসকষ্ট এবং সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যকর লোকদের সাথে সম্পর্কে আসে।
সুতরাং, এই পৌরাণিক কাহিনীগুলি বিজ্ঞান এবং তথ্যের দৃষ্টিতে সত্য নয়। সঠিক তথ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য উৎসগুলি থেকে ইনফ্লুয়েন্জা এর সম্পর্কে জানা উচিত। বিজ্ঞান সামগ্রী থেকে ইনফ্লুয়েন্জা এর সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান অর্জন করা যায়, যা সমস্ত মানবকে এই জানার জন্য সাহায্য করবে।