কিডনি রোগ কি? কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসার বিকল্প

কিডনি রোগ হলো কিডনির কাজের সমস্যার ফলে উত্পন্ন হওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। কিডনির কাজ হলো শরীরের অপব্যবহারকৃত পদার্থগুলি বাতিল করা, মলম বাইর করা, শরীরে প্রয়োজনীয় পদার্থগুলি সংরক্ষণ করা এবং প্রোটিন এবং অন্যান্য উপাদানগুলি শরীর থেকে বাইরে পাঠানো। কিডনি রোগ যখন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন এই কাজগুলি ঠিকমত সম্পাদন করতে না পারে এবং এর ফলে শরীরের উপাদানগুলি সংরক্ষণ করা হতে পারে না। এই কারণে কিডনি রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে বিবেচিত হয়। কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসার বিকল্প জানা গুরুত্বপূর্ণ যাতে সঠিক চিকিৎসা সম্পন্ন করা যায়।

কিডনি রোগ সম্পর্কে সাধারণ মিথস নির্ধারণ করা

কিডনি রোগ সম্পর্কে কিছু সাধারণ মিথস নিম্নলিখিতঃ

কিডনি রোগ শুধুমাত্র বৃদ্ধির সমস্যা: এটি সঠিক নয়। কিডনি রোগ কেবল বৃদ্ধির সমস্যার জন্য নয়, এটি যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, যারা নির্দিষ্ট ঝুঁকি ফেলে থাকে যেমন ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ রোগীরা।

  1. কিডনি রোগ কেবল বড় বয়সী লোকদের জন্য: কিডনি রোগ যে কেউ ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে, নির্দিষ্ট বয়স সীমা নেই। যে কেউ যার ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ রোগী তাদের কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
  2. কিডনি রোগ সমস্যার লক্ষণ সাধারণ: কিডনি রোগ সমস্যার লক্ষণ অনেকটা অস্পষ্ট হতে পারে এবং সামান্য সমস্যার মতো মনে হতে পারে। কিডনি রোগ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে সমস্যাটি নিয়ন্ত্রণ করা অনেকটা কঠিন হতে পারে।
  3. কিডনি রোগ থাকলে শুধুমাত্র ডায়ালিসিস করতে হবে: যদি কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ না করা হয় তবে ডায়ালিসিস করতে হতে পারে। তবে কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা হলে ডায়ালিসিস করার প্রয়োজন নেই এবং অনেকগুলি চিকিৎসার বিকল্প রয়েছে।

কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব: কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং এর জন্য প্রথম আশপাশ লাইফস্টাইল পরিবর্তন করা উচিত। এর পাশাপাশি প্রযোজনীয় বিশেষজ্ঞের সাথে সম্পর্ক রাখা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসার সাহায্য নেওয়া উচিত। এছাড়াও প্রতিদিন নিয়মিত পরীক্ষা করে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

প্রাথমিক চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে: নিয়মিত কিডনি কার্যক্রমের গুরুত্ব

হ্যাঁ, একজন কিডনি রোগ রোগীর জন্য নিয়মিত কিডনি কার্যক্রম অনেকটা জীবন বাঁচাতে পারে। কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।

নিয়মিত কিডনি কার্যক্রম লক্ষ্য করে রাখা উচিত যাতে কিডনির স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিডনি কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপযুক্তি নিম্নলিখিতঃ

সঠিক খাদ্যপদার্থের সেবন করা উচিত।

কিডনি রোগ কি? কারণ, লক্ষণ এবং চিকিৎসার বিকল্প

কিডনি রোগ রোগীর জন্য সঠিক খাদ্যপদার্থ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি রোগ রোগীর জন্য যে খাদ্যপদার্থ উত্তম সেগুলো খাওয়া উচিত সেগুলো হলোঃ সবুজ শাকসবজি, ফল এবং পরীক্ষিত প্রোটিন সম্পন্ন খাদ্যপদার্থ।

নিয়মিত ও যথাযথ পরিমাপ করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীর জন্য রক্তচাপ, গ্লুকোজ এবং ক্রিয়েটিনিন লেভেল নিয়মিত পরিমাপ করা উচিত। এছাড়াও মাসিক পরীক্ষা করে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

যথাযথ ও নিয়মিত পানি পান করা উচিত। পানি কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করায় গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পানি পান করা না করলেকিডনির স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং এর ফলে কিডনি রোগ প্রবৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিডনি রোগ রোগীর জন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীর জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ব্যায়াম করার মাধ্যমে কিডনির স্বাস্থ্য বাড়ানো যায় এবং কিডনি রোগ প্রবৃদ্ধি রোধ করা যায়।

নিয়মিত চেকআপ করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীর জন্য নিয়মিত চেকআপ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি কিডনি রোগ প্রবৃদ্ধির সাম্ভাব্য সংকেত নির্ণয় করতে সাহায্য করে এবং সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সময়মত কর্তব্যসমূহ গ্রহণ করা যায়।

উপরে উল্লেখিত ইংরেজি পাশাপাশি বাংলায় প্রদত্ত সমস্ত পরামর্শ সঠিক কিডনি স্বাস্থ্য সংরক্ষণে সহায়তা করবে।

প্রাথমিক চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে: 

হ্যাঁ, প্রাথমিক চিকিৎসা কিডনি রোগ রোগীদের জীবন বাঁচাতে সহায়তা করতে পারে এবং নিয়মিত কিডনি কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়।

কিডনি রোগ নিয়ন্ত্রণ করতে প্রাথমিক চিকিৎসা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসাবে বিবেচিত হয়। নিয়মিত কিডনি কার্যক্রম পরিচালনা করে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিডনি কার্যক্রম সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপযুক্তি হলোঃ

সঠিক খাদ্যপদার্থ গ্রহণ করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীদের জন্য সঠিক খাদ্যপদার্থ খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সবুজ শাকসবজি এবং পরীক্ষিত প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্যপদার্থ খাওয়া উচিত।

নিয়মিত ও যথাযথ পরিমাপ করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীদের জন্য রক্তচাপ, গ্লুকোজ এবং ক্রিয়েটিনিন লেভেল নিয়মিত পরিমাপ করা উচিত। এছাড়াও মাসিক পরীক্ষা করে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।

যথাযথ ও নিয়মিত পানি পান করা উচিত। পানি কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করায় গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত পানি পান করা না করলে কিডনি রোগ প্রবৃদ্ধি হতে পারে এবং কিডনি কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হতে পারে। প্রতিদিন যথাযথ পরিমাণে পানি পান করা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। নিয়মিত ব্যায়াম করা কিডনি রোগ রোগীদের জন্য উপকারী হতে পারে। তবে ব্যায়াম শুরু করার আগে ডাক্তার সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত।

নিয়মিতভাবে ঔষধ সেবন করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীদের জন্য নিয়মিতভাবে ঔষধ সেবন করা উচিত। কিডনি রোগ রোগীর জন্য ঔষধ স্বাভাবিকভাবে ব্যবহার করা উচিত হবে।

এগুলি হলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপযুক্তি যা কিডনি রোগ রোগীদের জন্য নিয়মিত কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করতে পারে। নিয়মিত কিডনি কার্যক্রম পরিচালনা করে কিডনি রোগ রোগীদের জন্য জীবন বাঁচানো সম্ভব হবে।

কিডনি রোগ জন্য শীর্ষ 5 ঝুঁকি ফেলার কারণগুলি যা আপনাকে জানতে হবে

কিডনি রোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা এবং এর জন্য কিছু ঝুঁকি ফেলার কারণ রয়েছে যা হলোঃ

ডায়াবেটিস: ডায়াবেটিস হলো একটি বিস্তৃত স্বাস্থ্য সমস্যা যা কিডনি রোগ এর একটি ঝুঁকি ফেলার কারণ হিসাবে গণ্য হয়। ডায়াবেটিস দ্বারা সংক্রমিত হওয়ার ক্ষেত্রে কিডনির কাজ সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় এবং কিডনি সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ: উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের একটি ঝুঁকি ফেলার কারণ হিসাবে বিবেচিত হয়। কারণ হলো উচ্চ রক্তচাপ কিডনির নরম অংশগুলি অবাক করে এবং কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করা কম হয়।

প্রকৃতির বিভিন্ন কারণ: পরিবারে কিডনি রোগ রোগী থাকলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। আরও কিছু কারণও হতে পারে যেমন ধূমপান, অপ্রচলিত ওষুধ গ্রহণ, গলাব্যথা ইত্যাদি।

পুরুষদের ঝুঁকি: পুরুষদের কিডনি রোগ হওয়ার ঝুঁকি মহিলাদের তুলনা করে অনেক বেশি হয়। পুরুষদের কিডনির কাজ প্রভাবিত হওয়া সহজ হয় কারণ তাদের অবস্থান উঁচু দরজাগুলির কারণে অধিক সম্ভব। এছাড়াও পুরুষদের বেশি সময় ধূমপান করা হয় যা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

বৃদ্ধি: বৃদ্ধি হলো কিডনি রোগের ঝুঁকির একটি অগ্রগতি কারণ। বৃদ্ধিতে কিডনি স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রণ করতে অসমর্থ হয় এবং কিডনি সংক্রমণ বা কিডনি সমস্যার ঝুঁকি বাড়াতে পারে।

এগুলি হলো কিছু ঝুঁকি ফেলার কারণ যা কিডনি রোগ সম্পর্কে জানা গুরুত্বপূর্ণ। সমস্যাটি সমাধান করতে সমস্যাটি আগাম করতে এবং এর উপচার করতে এই ঝুঁকি ফেলার কারণগুলি সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কিডনি রোগ বন্ধ বা কিডনি ব্যর্থতা: পার্থক্যগুলি কী?

কিডনি রোগ বন্ধ এবং কিডনি ব্যর্থতা দুটি বিভিন্ন সমস্যা এবং পার্থক্যগুলি হলোঃ

কিডনি রোগ বন্ধ: কিডনি রোগ বন্ধ এর অর্থ হলো কিডনির ক্ষমতা অস্থায়ীভাবে কমে যাওয়া এবং গ্রেফটি বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটি সাধারণত কিডনি রোগের একটি সাধারণ উপাদান হয় এবং প্রায় সমস্ত কিডনি রোগে দেখা যায়। কিডনি রোগ বন্ধ হলে, কিডনির কাজ শুরু হয় না এবং এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমাপ্ত হয় যাতে ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি স্বাভাবিক কাজ না করতে পারে।

কিডনি ব্যর্থতা: কিডনি ব্যর্থতা বা অন্তঃশ্বস্ত্রাবস্থা হলো কিডনির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়া, যা জীবনসম্পন্ন হয়ে গেছে। এটি সাধারণত কিডনি রোগের দীর্ঘমেয়াদী পরিণাম হয় এবং মৃত্যুর উপকার করে। কিডনি ব্যর্থতা হলে কিডনির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয় এবং মহাদেশের মধ্যে অন্যান্য শরীরের কাজ দেখা যায় না।

এই দুটি সমস্যা একই হতে পারে কিন্তু কিডনি রোগ বন্ধ থেকে কিডনি ব্যর্থতা এর পথ একটি অতিরিক্ত শ্রমদায়ক উপস্থাপন করে। কিডনি রোগ বন্ধ হলে কিডনির কাজ সম্পূর্ণবন্ধ নয় কিন্তু সামগ্রিকভাবে কমে যায় এবং কিছু সমস্যা উত্পন্ন করতে পারে, যেমন হয়তো মনে হবে জলপাই বা উচ্চ রক্তচাপ এর মতো সমস্যা। কিডনি ব্যর্থতা হলে, কিডনির কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয় এবং যে কোনও সমস্যা উত্পন্ন করতে পারে, যা জীবনকে সংক্ষুব্ধ করে দিতে পা।

কিডনি ব্যর্থতা একটি গুরুতর সমস্যা হওয়ার কারণে এর চিকিৎসা অনেকটা কষ্টকর হতে পারে। চিকিৎসার জন্য জীবনযাপনের উপাদানগুলি পরিবর্তন করা হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে কিডনি স্থানান্তর করতে হতে পারে।

সুতরাং, কিডনি রোগ বন্ধ এবং কিডনি ব্যর্থতা দুটি বিভিন্ন সমস্যা এবং এদের চিকিৎসা এবং পরিচর্যার পদক্ষেপগুলি উপস্থাপন করা হতে পারে যাতে কিডনির কাজ স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে এবং জীবনসম্পন্ন হয়ে যায়।

কিডনি সুস্থ রাখার উপায়: জীবনযাপনের পরামর্শ এবং খাদ্য পরামর্শ

কিডনি সুস্থ রাখার জন্য কিছু জীবনযাপনের পরামর্শ এবং খাদ্য পরামর্শ নিম্নরূপঃ

জীবনযাপনের পরামর্শ:

  • পর্যবেক্ষণকারী হতে হবে: প্রতিদিনের খাদ্য ও পানীয় পদার্থ পর্যবেক্ষণ করে রাখতে হবে এবং নির্দিষ্ট পরিমাণের প্রোটিন, ক্যার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট সেবন করা উচিত।
  • নিয়মিত উপাদেয় পরীক্ষা করা উচিত: কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিয়মিত চেকআপ করা উচিত যাতে কিডনি সমস্যা সম্পর্কে সঠিক জানা যায়।
  • যথাযথ পরিমাণ পানি পান করা উচিত: প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে পানি পান করা উচিত যাতে কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে নিরাপদ থাকে।
  • নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত: নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত যাতে কিডনির স্বাস্থ্য উন্নত হয়।
  • সমস্ত ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করা উচিত: যদি কোনও ওষুধ নির্দিষ্ট পরিমানের বেশি ব্যবহার করা হয় তবে কিডনি স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

খাদ্য পরামর্শ:

  • কম প্রোটিন খাদ্য সেবন করা উচিত: প্রোটিন কিডনির কাজ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন তবে অধিক প্রোটিন খাদ্য সেবন করা কিডনির ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
  • সঠিক পরিমাণ ক্যার্বোহাইড্রেট সেবন করা উচিত: সঠিক পরিমাণে ক্যার্বোহাইড্রেট খাদ্য সেবন করা কিডনির কাজ সহজ করতে সাহায্য করে।
  • কম সম্ভব নামি খাদ্য সেবন করা উচিত: নামি খাদ্য কিডনির কাজের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
  • সঠিক পরিমাণে সব্জি এবং ফল খাওয়া উচিত: সব্জি এবং ফলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পূর্ণ খনিজ এবং ভিটামিন থাকে যা কিডনি স্বাস্থ্য উন্নয়নে সহায়তা করে।
  • নিয়মিত মাছ খাওয়া উচিত: মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাট থাকায় এটি কিডনির স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে।
  • পর্যাপ্ত পানি পান করা উচিত: নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করা কিডনির স্বাস্থ্য উন্নয়নে সাহায্য করে।

এছাড়াও, কিডনি স্বাস্থ্য সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকলে নিরাপদ না হওয়া উচিত। সেই জন্য নিয়মিত চেকআপ করা উচিত এবং নিরাপদ থাকা জন্য কোনও ওষুধ ব্যবহার করতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য কি ধরণের ব্যায়াম করতে পারি?

কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য ব্যায়াম করা উচিত তবে ব্যায়ামের ধরণ এবং মাত্রা সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কিন্তু সাধারণত নিম্নলিখিত ধরণের ব্যায়ামগুলো কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত হতে পারে:

  1. হাইট ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং (HIIT): এটি একটি প্রভাবশালী ব্যায়াম যা মূলত স্প্রিন্ট এবং ব্রেক এর একটি সংমিশ্রণ। হাইট ইন্টেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং কিডনির কাজ বাড়ানোর জন্য উপযুক্ত হতে পারে। কিন্তু এটি একটি কঠিন ব্যায়াম যা সঠিকভাবে করা উচিত এবং ডাক্তারের পরাম
  2. হাইকিং: হাইকিং একটি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম যা কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত হতে পারে। এটি পর্বত এলাকায় বিভিন্ন পাথরে বা পর্বত আঁকা সড়কে করা যায়।
  3. সাইক্লিং: সাইক্লিং কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য একটি মনোরম ব্যায়াম যা ক্ষতিগ্রস্ত কিডনি পরিস্থিতিতে নিরাপদ হতে সাহায্য করে।
  4. যোগাসন: যোগাসন কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য একটি উপযুক্ত ব্যায়াম হিসাবে গন্য করা হয়। এটি স্থির ও নিরবতাব্যায়াম যা মানসিক স্থিরতা এবং শারীরিক সমন্বয় উন্নয়ন করে এবং কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত হয়। স্বাস্থ্যকর ব্যায়ামের জন্য নিম্নলিখিত উল্লেখযোগ্য হতে পারে:
  5. ওয়াকিং: এটি একটি সহজ ব্যায়াম যা কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত। প্রতিদিন স্থির গতিতে একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব হাঁটার চেষ্টা করা যেতে পারে।
  6. স্বিমিং: স্বিমিং একটি স্বাস্থ্যকর ব্যায়াম যা কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত। এটি সাধারণত মাংসপেশিদের সুস্থতার জন্য উপকারী হতে পারে।
  7. স্ট্রেচিং: এটি একটি সহজ ব্যায়াম যা কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত। স্ট্রেচিং শারীরিক লচনশীলতা কমিয়ে দেয় এবং শারীরিক দুর্বলতা কমিয়ে দেয়।

সমগ্রভাবে বলা যায় যে, কিডনি সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য উপযুক্ত ব্যায়ামের জন্য প্রথমেই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও, একটি উপকারী ব্যায়াম করতে আগ্রহী হলে এটি সঠিকভাবে করা এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে করা উচিত।

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সম্পর্কে মোটামুটি মিথস পরিস্থিতি মোকাবেলা করা

দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন মিথস ও ভ্রান্তি রয়েছে, যা সঠিক নয়। একটি কিছু মিথস ও সঠিক বিষয়বস্তুর উল্লেখ নিম্নে দেওয়া হলো:

মিথস: ক্ষুধামন্দা এবং ভুক্তি সম্পর্কে কিছু না খাওয়ার সময় কিডনি রোগ সম্পর্কে পরিস্থিতি পারদর্শী করে।

সঠিকতা: এটি সঠিক নয়। কিডনি রোগের কারণ হলো কিডনির কাজ ঠিকমত না করা। আপনি কোন খাদ্য না খাওয়া সময় কিডনির কাজ ঠিকমত হবে। তবে সঠিক খাদ্য কিছু কম খেলে কিডনি রোগ সম্পর্কে পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে।

মিথস: কিডনি রোগ উন্নয়ন না হওয়ার কোনও উপায় নেই।

সঠিকতা: এটি ভুল। কিডনি রোগ উন্নয়ন না হওয়ার কোনও উপায় নেই না কিন্তু সঠিক চিকিৎসা, পরিবর্তন করা খাদ্য এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করে কিডনি রোগের উন্নয়ন করা যায়।

মিথস: শীতকালে পানি খুব কম পান করা উচিত কারণ কিডনি রোগ হতে পারে।

সঠিকতা: এটি ভুল। শীতকালে অধিক পানি পান করা উচিত। শীতকালে শরীর ব্যবহার করে অধিক পানি হারাচ্ছে যা কিডনি কাজ করতে সাহায্য করে।

মিথস: কিডনি রোগ সাধারণত বৃদমিথস: কিডনি রোগ সাধারণত বৃদ্ধি বয়সী মানুষদের দেখা যায়।

সঠিকতা: এটি সম্পূর্ণ সঠিক নয়। কিডনি রোগ যেকোন বয়সের মানুষে দেখা যেতে পারে। কর্তৃপক্ষ কিছুটা বৃদ্ধি বয়সী মানুষদের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেয় কারণ তাদের কিডনির কাজ নিয়ন্ত্রণ করা কম হতে পারে। তবে যে কোন বয়সের মানুষে কিডনি রোগ দেখা যেতে পারে এবং তা সঠিকভাবে চিকিৎসা করা উচিত।

মিথস: কিডনি রোগ সন্ধান করা অত্যন্ত কঠিন এবং দুঃখজনক।

সঠিকতা: এটি কিছুটা সঠিক হতে পারে কিন্তু সম্ভবতঃ সমস্যাটি আগাম হলে কিডনি রোগ সন্ধান করা অনেকটা সহজ হতে পারে। আপনি সম্ভবতঃ কিডনি রোগের লক্ষণগুলি নিয়মিত স্ক্রীনিং টেস্ট করে তা সন্ধান করতে পারেন। কিডনি রোগ সন্ধান হলে সঠিক চিকিৎসা এবং পরিবর্তন করা খাদ্য এবং জীবনযাপন এই সমস্যার উন্নয়নে সহায়তা করতে পারে।

মিথস: কিডনি রোগ সম্পর্কে কিছু না জানলে এটি মার্জিত হওয়া সম্ভব না।

কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং পরিচালনার জন্য খাদ্যের ভূমিকা

কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং পরিচালনার জন্য সঠিক খাদ্য খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিডনি রোগ সংক্রমণ এবং উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে হতে পারে। এ সমস্যাগুলি কম করতে ও কিডনি স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করতে নিম্নলিখিত খাদ্য পদার্থের উপভোগ করা উচিত:

১. সবজি এবং ফল: সবজি এবং ফলের সেবন কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং পরিচালনার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। সবজি এবং ফল সঠিক পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন, এবং খনিজ সরবরাহ করে এবং কিডনি স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করে।

২. পুষ্টিকর খাবার: পুষ্টিকর খাবার খাওয়া কিডনি রোগ পরিচালনায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত, তবে প্রতি দিনে খাওয়া প্রোটিনের পরিমাণ সীমাবদ্ধ থাকতে হবে।

৩. পর্যাপ্ত পানি: পর্যাপ্ত পানি খাওয়াটি কিডনি স্বাস্থ্যকে উন্নয়ন করে এবং কিডনি রোগ পরিচালনাতে উপকারী। দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত।

৪. কম নেত্রকর্ষণশীল খাবার: নেত্রকর্ষণশীল খাবার খাওয়া উচিত নয় কারণ এগুলি কিডনি স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। নেত্রকর্ষণশীল খাবার হলো এমন খাবার যেগুলো অধিক প্রোটিন বা সম্পূর্ণ প্রোটিন থাকে, যেমন মাংস, মাছ, ডেয়ারি প্রোডাক্ট, ড্রাই ফ্রুটস ইত্যাদি।

৫. কম নিরাপদ খাবার: কিডনি রোগ প্রতিরোধ এবং পরিচালনার জন্য নিরাপদ খাবার খাওয়া উচিত। এটি শক্তিশালী ঔষধি যেমন এলেক্সাপ্রিল এবং ক্যাপ্টোপ্রিল প্রভাবিত করতে পারে এবং কিডনি স্বাস্থ্যকে নিরাপদ রাখতে সাহায্য করে।

উপরে উল্লিখিত খাবারগুলি খাওয়ার সময় সতর্ক থাকতে হবে এবং যদি কোন সমস্যা উঠে তবে ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নেওয়া উচিত।


Previous Post Next Post