কেমোথেরাপি কি? কেমোথেরাপি হলে করণীয় কি?

কেমোথেরাপি হলো কেমিক্যাল থেরাপির সংক্রান্ত একটি চিকিৎসামূলক পদক্ষেপ যা ক্যান্সার এবং অন্যান্য অস্থায়ী বা স্থায়ী রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি বিভিন্ন কেমিক্যাল দ্রব্যকে ব্যবহার করে, যা ব্যক্তির শরীরের ক্যান্সার কক্ষকের জীবাণু বা অবস্থানগুলি ধ্বংস করতে সাহায্য করে। এটি রেডিওথেরাপি বা সার্জারির পরবর্তী পদক্ষেপ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে এবং অনেক সময় এটি স্বতন্ত্র চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার প্রতিবন্ধী পদক্ষেপ হিসাবে ব্যবহৃত হয়।

কেমোথেরাপি কি কেমোথেরাপি হলে করণীয় কি

কেমোথেরাপি ব্যবহার করে ক্যান্সার সেলগুলি ধ্বংস করা হয় এবং ব্যক্তির শরীরের স্বাভাবিক সেলগুলি প্রভাবিত না হওয়া স্বাস্থ্যকর সীমার মধ্যে সেলগুলি ধ্বংস করা হয়। কেমোথেরাপি ব্যবহার করে সমস্যাগুলি সংক্রান্ত সমস্যাগুলি হলো জিন্সেং লস, মলদ্বেষ, উঁচু রক্তচাপ এবং অন্যান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি।

কি কি রোগ হলে কেমোথেরাপি দেওয়া লাগবে?

কেমোথেরাপি বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। কিছু রোগের জন্য কেমোথেরাপি একটি প্রধান চিকিৎসামূলক পদক্ষেপ হতে পারে, যেমন:

১. বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সার, যেমন প্রস্তত এবং উন্নয়নশীল ক্যান্সার, লিম্ফোমা এবং মেলানোমা।

২. রক্তস্ত্রাব, একটি ক্যান্সার হওয়া সম্ভব এবং কেমোথেরাপি রক্তস্ত্রাব নির্মূল করতে ব্যবহৃত হতে পারে।

৩. অস্থিমজ্জা ক্যান্সার, যেমন মাইলোমা এবং লিউকেমিয়া।

৪. বিভিন্ন ধরণের ক্রন রক্তচাপ বা উঁচু রক্তচাপ।

৫. ফুসফুসের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি ব্যবহৃত হতে পারে।

৬. অস্থিপোষক দূর্বলতা বা অস্থিপোষক রোগের চিকিৎসার জন্য কেমোথেরাপি ব্যবহৃত হতে পারে।

এছাড়াও, কেমোথেরাপি মনে করা হয় একটি সমস্যামুক্ত পদক্ষেপ না, তবে সেটি নির্দিষ্ট রোগের জন্য চিকিৎসার একটি বিশেষ ধাপ হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। চিকিৎসার পরিস্থিতি এবং সমস্যার ধরণ দেখে ডাক্তারই নির্ধারণ করে কেমোথেরাপি দেওয়া উচিত কি না।

কেমোথেরাপি করার পর কি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে?

হ্যাঁ, কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। কেমোথেরাপি একটি শক্তিশালী চিকিৎসামূলক পদক্ষেপ হলেও এর কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। প্রধানতঃ কেমোথেরাপি এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিম্নলিখিত হতে পারে:

১. বমি বা উবকাপি: কেমোথেরাপি করার পর কিছু লোকে বমি বা উবকাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

২. জিন্সেং লস: কেমোথেরাপির ফলে কিছু লোকে জিন্সেং লস হতে পারে, যা বুকের ক্ষেত্রে উঁচু জ্বালাপটু বা বুকের এলাকায় স্থানান্তর হয়।

৩. ব্যথা এবং উঁচু রক্তচাপ: কেমোথেরাপি এর ফলে কিছু লোকে ব্যথা এবং উঁচু রক্তচাপ হতে পারে।

৪. মলদ্বেষ: কেমোথেরাপি এর ফলে কিছু লোকে মলদ্বেষ হতে পারে।

৫. পরিবর্তনশীল মনোমুগ্ধতা: কেমোথেরাপি করার পর কিছু লোকে পরিবর্তনশীল মনোমুগ্ধতা হতে পারে।

এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলি সাধারণত একটি বা একাধিক কেমিক্যাল দ্রব্যের ব্যবহার এর ফলে হতে পারে যা ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। যদি আপনি কেমোথেরাপি করার পর এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখতে সমস্যা হয়, তবে দয়া করে আপনার ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ যোগাযোগ করুন।

কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর উপায় কি?

কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর উপায় নিম্নলিখিত হতে পারে:

১. পরিবর্তনশীল আহার: কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য পরিবর্তনশীল আহার গ্রহণ করা উচিত। আহারের মধ্যে সবজি, ফল এবং প্রোটিন রয়েছে এবং তেল, মিষ্টি এবং তেজপাতা সহ কিছু খাবার এড়িয়ে দেওয়া উচিত।

২. পর্যবেক্ষণ: কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য আপনার ডাক্তার আপনার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করবেন।

৩. পানি পর্যবেক্ষণ: পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি, কেমোথেরাপি করার পর আপনার পর্যপ্ত পানি পান করা উচিত।

৪. প্রেস্ক্রিপশন মেডিসিন: কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমানোর জন্য ডাক্তার প্রেস্ক্রিপশন মেডিসিন পরামর্শ করতে পারেন।

৫. শারীরিক ব্যায়াম: কেমোথেরাপি করার পর সম্ভবতঃ শারীরিক ব্যায়াম করা উচিত না, তবে ডাক্তার পরামর্শ দিলে কিছু মাত্রায় সাধারণ ব্যায়াম করা যেতে পারে।

এই সমস্ত উপায়ের মাধ্যমে আপনি কেমোথেরাপি করার পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমাতে পারেন। তবে পরিবর্তিত আহার এবং শারীরিক ব্যায়াম সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে আলোচনা করা উচিত।

কেমোথেরাপি জন্য এলোপ্যাথিক কি ঔষধ দেওয়া হয়?

কেমোথেরাপি জন্য এলোপ্যাথিক ঔষধ ব্যবহার করা হয় যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, এন্টিনিউক্লিয়ডার ওয়ার ড্রাগগুলি, স্টেরয়েডস, এন্টিনজেটিক দ্রব্য, এন্টিডিপ্রেসেন্ট, এন্টিএমেটিক দ্রব্য ইত্যাদি। এছাড়াও, কেমোথেরাপি করার জন্য সাধারণত প্লেটলেট বা রেড ব্লাড সেল সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য হরমোন থেরাপি প্রয়োজন হতে পারে।

এছাড়াও, সমস্ত এলোপ্যাথিক ঔষধ একইভাবে সক্ষম নয় এবং সমস্ত রোগীর জন্য উপযুক্ত নয়। আপনার ডাক্তার কেমোথেরাপি এবং এলোপ্যাথিক ঔষধের সাথে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা এবং কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা সম্ভাবিত ঝুঁকি সম্পর্কে আলোচনা করবেন। আপনি আপনার ডাক্তারের সাথে একটি বিস্তারিত চর্চা করতে পারেন যাতে আপনি কেমোথেরাপি এবং এলোপ্যাথিক ঔষধের জন্য উপযুক্ত রেজিম নির্ধারণ করতে পারেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post