একটি দেশ একে অপরের উপর নির্ভরশীল। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক ছাড়া একটি দেশের উন্নতি বাধাগ্রস্ত হয়। উদাহরণ হিসেবে ধরতে পারেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রায় অনেক দেশের সঙ্গেই সু সম্পর্ক নেই। এই প্রসঙ্গে বলতে পারি জাপানের কথা। জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক প্রায় আদায়-কাঁচকলায় কারণে আমেরিকায় প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও বিন্দুমাত্র সাহায্যের কোন আশা নেই। যদিও উত্তর কোরিয়ার সামরিক জান্তা সরকার প্রতিনিয়ত কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে দেশের মানুষ বেকারত্ব বাড়ছে। মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমছে। মুদ্রাস্ফীতিতে দেশের অর্থনীতির দাম বাড়ছে প্রতিটি পণ্যের। আমদানি এবং রপ্তানিকারক প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাটা গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক নির্ভরতার প্রতীক কোনভাবে অন্য কোন দেশের সাথে আন্তঃসম্পর্ক এবং আন্তঃসংযুক্ত। এটা সত্যি যে বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে কিছু সমস্যা থাকে এবং থাকবেই। তবে সবাইকে মানতে হবে যে দেশগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে তাদের দ্বিপাক্ষিক সমস্যাগুলো সমাধান করা অনেক সহজ হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ভারতের প্রতিবেশী দেশ। তাদের সঙ্গে অনেক সুসম্পর্ক রয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের সীমানা নিয়ে সমস্যা লেগে আছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের সীমান্তবর্তী প্রতিবেশী দেশের সাথে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিকভাবে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের উন্নয়নে আরাকান রাজসভার রয়েছে বিশেষ অবদান ছিল। বাংলাদেশের ইতিহাসে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বাঙ্গালীদের রয়েছে বিরাট অবদান। একুশ শতকের দ্বারপ্রান্তে এসে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও গাঢ় হওয়ার কথা ছিল কিন্তু বর্তমানে মিয়ানমার যেন বাংলাদেশের জন্য একটা আতঙ্ক ও নিহতের নাম। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশে পাঠাচ্ছে কখনো, সেন্টমার্টিন দ্বীপ কে নিজেদের সীমানা বলে দাবি করছে এই মায়ানমার সরকার। সীমান্ত পেরিয়ে আসা, উস্কানিমূলক কথাবার্তা এবং পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া লাগানোর নেশায় তারা মত হয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত মিয়ানমারের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভালোর দিকে নেই এটা পরিষ্কারভাবেই বলে দেয়া যায়। বাংলাদেশ এবং মায়ানমারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুফল ভোগ করতে পারছে না কেউ।
এই দুই দেশের মধ্যকার সমস্যা যেন প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তবে বেশ কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে যেমন বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রসীমা নিয়ে 44 বছরের বিরতি 2012 সালে আন্তর্জাতিক বিচারালয় আই টি এল এস এর মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে দূরত্ব বহুগুণে বাড়িয়ে দিয়েছে। আমাদের দেশের জনগণের মধ্যেও মিয়ানমারকে নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্ম হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুর এই ঘটনার পর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জড়িত হয়েছে। এমন খরা সময়ে মাধ্যমে কি সমাধান করা সম্ভব সম্ভব নয়? একে অপরের বন্ধু হয়ে উঠতে পারে না? বাংলাদেশ-মিয়ানমারের যেকোনো একজন সুনাগরিকের এই বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করাটাই স্বাভাবিক। 13 ই জানুয়ারি 1972 সাল পৃথিবীর ষষ্ঠ দেশ হিসেবে মিয়ানমার বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্কের যাত্রা শুরু হয়। সোস্যালিস্ট রিপাবলিকান আর্মি তৎকালীন রাষ্ট্রপতি এশিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি 26 এপ্রিল 1974 সালে ঢাকায় সরকারি সফরে আসেন।
নিজ অবস্থানে প্রাক্কালে তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তার সফর অত্যন্ত ফলপ্রসূ ছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল অমীমাংসিত বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সময়কালের বাংলাদেশ মিয়ানমারের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল ছিল। কিন্তু ইতিহাসের পরবর্তী পৃষ্ঠা গুলো দেখা যায় 2011 সাল পর্যন্ত শাসন করেছে সামরিক বাহিনী। পরবর্তী সময় রাজনৈতিক পটপরিবর্তন শুরু হলেও সামরিক শাসকরা পূর্ণ কর্তৃত্ব উপভোগ করে আসছিল গণতন্ত্রের। বরিশাল দেশটির মানুষ কখনই পাইনি 2021 সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি 9 বছরের বেসামরিক সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশটির সামরিক জান্তা আবারও রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনী সমর্থিত অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল। সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করে সামরিক বাহিনী। নেতারা মনে করেন তারা আইন অনুসারে রাজনৈতিক ক্ষমতা গ্রহণ করেছেন। অন্যদিকে অভ্যুত্থানের পর মিয়ানমারে তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয়। সাধারণ নাগরিক বিশেষ করে তরুণ সমাজ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন। মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে একটা বিষয় স্পষ্ট যে সেনাবাহিনী আরও কয়েক বছর ক্ষমতায় থাকবে।
ইতিমধ্যে সামরিক সরকারের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। তাই বর্তমানে জামিনে রয়েছেন তাদের উচিত প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া। বর্তমান রাজনীতির সমীকরণ বিবেচনায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উচিত পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করা। দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক অচলাবস্থা ভাঙার জন্য তিনটি ক্ষেত্রে কাজ করা যেতে পারে।
- অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন
- সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি
- এবং আঞ্চলিক সংযুক্তি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে বাংলাদেশের অনেক মানুষ জীবিকার সন্ধানে যাতায়াত করতেন। তখন থেকেই এদেশের মানুষের একটা অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। 1973 সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে। বঙ্গবন্ধু তখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছিলেন। 1973 সালে বাংলাদেশে সাধারণ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করে। পরবর্তী সময়ে ব্যবসা বাণিজ্য সংক্রান্ত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো 1980 সালের সীমান্ত চুক্তি এবং 1988 সালের সীমানা নির্ধারণ এবং 1989 সালে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক। 1995 সালের 5 সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য সম্পর্ক শুরু করে। এভাবেই বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের আনুষ্ঠানিক পরিচালিত এ বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা বাড়তে শুরু করে। 1995-1996 সালে এই সময়ে বাংলাদেশে ইয়াঙ্গুনে বাণিজ্য প্রদর্শনী চালু করে। সেই মনোরম দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়। মিয়ানমারের দীর্ঘ মেয়াদী কর্তৃত্ববাদী শাসন এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী অর্থনৈতিক নীতির কারণে দেশের সম্ভাবনাময় অর্থনৈতিক সম্পর্ক বারবার বাধাগ্রস্ত হয়। এত সমস্যার মধ্যেও দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চলছে আপন গতিতে।
2020 সালে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় 10 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল 48.5 মিলিয়ন মার্কিন ডলার আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় 64 মিলিয়ন মার্কিন ডলার। 2021 সালে মিয়ানমারে রপ্তানির সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশে প্রায় 230 কোটি টাকার পণ্য রপ্তানি করে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় প্রায় 24 কোটি টাকা বেশি দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করা এবং দুই দেশ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই। বাণিজ্যকে সম্প্রসারিত করতে বাংলাদেশের ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং মিয়ানমারের রিপাবলিক অব দ্য ইউনিয়ন অফ মায়ানমার ফেডারেশন অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি একসাথে কাজ করতে পারে। সম্পর্কের পাশাপাশি সীমান্ত অর্থনৈতিক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করার একটি ভাল বিকল্প হতে পারে। এটি একদিকে যেমন সীমান্ত এলাকার মানুষের জীবিকার নতুন সুযোগ তৈরি করবে অন্যদিকে একটি প্রত্যন্ত অঞ্চলে ব্যবসা কেন্দ্র গুলোর সাথে সংযোগ স্থাপন করবে।
এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা উচিত রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ দারিদ্র্য। সুতরাং সীমান্ত হাট এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করে রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণ দারিদ্রতা মোকাবেলা করা সম্ভব। একটু আগেই বলেছিলাম যে 1995 সালের 5 সেপ্টেম্বর মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে বাণিজ্য শুরু হয়। এর অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দুই দেশের মধ্যকার অনানুষ্ঠানিক সীমান্ত বাণিজ্য বৈঠক করেন। একইভাবে এর মাধ্যমে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হয় 28 ডিসেম্বর 1998 সাল থেকে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি প্রায় 40% এবং বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারের আমদানির প্রায় 30% সীমান্ত দীর্ঘদিন ধরে। বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো যেমন থাইল্যান্ড মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর এবং ইন্দোনেশিয়া সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে যোগাযোগের জন্য বাংলাদেশের প্রবেশদ্বার ব্যবহার করে আসছে। যোগাযোগের জন্য মিয়ানমার বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অপশন। মিয়ানমারের সাথে সুসম্পর্ক বাংলাদেশকে এসব দেশের বাজারে প্রবেশ করে দেবে। চাষাবাদের জন্য বাংলাদেশ মিয়ানমার থেকে 10 থেকে 15 বছর মেয়াদে জমি অধিগ্রহণের কথা রয়েছে। এই উদ্যোগের দ্রুত বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
বেসরকারি যেকোনো বড় কোম্পানি গ্রহণ করে চাষাবাদ উৎপাদন করতে পারে। এতে বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তায় মিয়ানমার সহায়ক হতে পারে। অন্যদিকে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক হলে খাদ্যশস্যের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা অনেক ক্ষেত্রে কমানো সম্ভব। কৃষিভিত্তিক মিয়ানমারে বাংলাদেশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশ রপ্তানী করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সবচেয়ে বড় শক্তি খনিজ সম্পদ নানা ধরনের প্রাকৃতিক সম্পদে পরিপূর্ণ এই দেশের উল্লেখ যোগ্য সম্পদের মধ্যে রয়েছে। প্রাকৃতিক গ্যাস বর্তমানে এশিয়ার অন্যতম প্রধান গ্যাস উত্তোলনের জন্য পুরোপুরি মিয়ানমারের ওপর নির্ভরশীল। বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত হতে পারে জ্বালানির উৎস এছাড়া দেশের সীমান্ত বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। এখন বঙ্গোপসাগরে যৌথ উদ্যোগে বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করতে পারে। তাতে একদিকে যেমন দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। অন্যদিকে বাণিজ্যিকভাবে দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা থাকবে।
যেকোনো সংকট আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে এমন অজস্র উদাহরণ রয়েছে যেখানে প্রতিদ্বন্দী রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে একে অপরের সাথে ভালো অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ চীন এবং ভারতের কথাই ধরা যাক। কয়েক দশক ধরে বেশ কয়েকটি সংঘর্ষে জড়িয়েছে বিশেষ করে লাদাখ সীমান্ত সংঘাতের পর থেকে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত সম্পর্ক বিরাজ করছে। কিন্তু ভারতের চুক্তি সংস্থা শিল্পখাতে এবং কাঁচামাল সরবরাহ বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার বৃহত্তর দুটি দেশের অর্থনৈতিক নির্ভরশীলতা তাদের মধ্যে বিদ্যমান। সমস্যাগুলো সমাধানের দিকে যাওয়ার নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দুই দেশের মধ্যকার যে কোনো সঙ্কট নিরসনে নিঃসন্দেহে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। তাই দু'দেশের উচিত বন্ধুত্ব সুলভ আচরন করা এবং একে অপরের বন্ধুত্ব হাওয়া।