ভুঁড়ি বা মেদ কমানোর জন্য করণীয়

কিভাবে ঘরোয়া উপায় আমরা আমাদের পেটের মেদ বা ভুঁড়ি যেটাকে বলে থাকে সেটা কমাবো? পেটের মেদ বা চর্বি বা মেদ ভুঁড়ি বলে থাকি সেটা কিন্তু আমাদের কারোই কাম্য নয়। আমরা সবাই কিন্তু কম বেশি মোটা হয়ে থাকি। এই মোটা হওয়া অনেকটা যন্ত্রণাদায়ক বলে অনেকে মনে করেন। পেটের মেদ যেমন সৌন্দর্যবর্ধনে করে না পাশাপাশি দেখা যায় বিভিন্ন রোগের জন্য ঝুঁকির কারণ হয়ে থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগের এটি একটি মহা সমস্যার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এজন্য আমাদেরকে প্রথমেই যেটা করতে হবে আমাদেরকে  মোটা হওয়া থেকে সতর্ক এবং কি কারনে এই বুড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় সেগুলো আমাদের অবশ্যই জানতে হবে। অনেক বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রাতের খাবার সঠিক সময়ে না খেলে এবং খাবার খেয়েই শুয়ে পড়া এ রোগের প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া অতিরিক্ত খাবার যেকোনো এক বেলায় পরিমাণের তুলনায় বেশি খাওয়া। যখন আমরা প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত খাবার একসঙ্গে খাই সেটা কিন্তু আমাদের পেটের মেদ জমা হয়। যার ফলে দেখা যায় পেটের মেদ টা বাড়িয়ে দেয়।

ভুঁড়ি বা মেদ কমানোর জন্য করণীয়

এছাড়া অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, তেল জাতীয় খাবার, মসলাজাতীয়, ফাস্টফুড খাবার, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় অনেক বেশি পরিমাণে গ্রহণ করে থাকেন  তাদের জন্য মেদ বাড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি। এছাড়া যারা অ্যালকোহল গ্রহণ করে থাকেন তাদের ক্ষেত্রেও পেটের মধ্যে অনেক বেশি  সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে এবং মেদ বেড়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে, আপনার দৈনন্দিন রুটিন এর কোন এক্সারসাইজ বা হাটাহাটির না করা, আপনার বসার পজিশন ঠিক না  এরকম কারণেও কিন্তু মেদ জমতে পারে।  আমরা যদি সঠিক সময়ে শরীরের যত্ন না নেই তাহলে কিন্তু অবশ্যই আমাদের মেদ বেড়ে যাবে। যেটি অনেকটাই অস্বস্তির কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এছাড়াও অতিরিক্ত মেদ হলে যে কোন কাজ করার ক্ষমতা অনেকটাই কমে যায় এবং শরীর ভার বেশি হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদেরকে অবশ্যই উচিত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া।

আসুন আমরা জেনে নেই কিভাবে আমরা ঘরোয়া উপায়ে আমাদের পেটের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারব? সে ক্ষেত্রে প্রথমেই যেটা করতে হবে যে অতিরিক্ত খাবার একসঙ্গে না খেয়ে আপনাকে অল্প অল্প করে পাঁচ থেকে ছয় ভাবে খাবারটা খেয়ে নিতে পারেন। অতিরিক্ত খাবার একসঙ্গে না খেয়ে অবশ্যই আমাদেরকে খাবার ভাগ করে নিতে হবে। এরপরে হচ্ছে রাতের খাবার অবশ্যই  সময় মতো খাবেন বিশেষ করে  সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার মধ্যে খেয়ে ফেলতে এবং অবশেষে হালকা খাবার হতে হবে। ভারী খাবার না খেয়ে আমাদেরকে উচিত নরম জাতীয় খাবার খাওয়া। এরপরে যদি আসে আপনার বসার পজিশন তাহলে বলব আপনি সবসময় চেষ্টা করবেন সঠিক পজিশনে  বসতে।  অনেকেই দেখা যায় অফিসে বসে কাজ করেন তাদের ক্ষেত্রে এই প্রবণতা দেখা যায় অনেক বেশি। যারা অফিসে বসে কাজ করেন তারা অবশ্যই চেয়ারটি 90 ডিগ্রী অ্যাঙ্গেলে বসে কাজ করার চেষ্টা করবেন। কেননা নব্বই ডিগ্রি এংগেল আপনাকে ভুড়ি কমাতে সহযোগিতা করবে এবং আপনার মেরুদন্ড সোজা হয়ে রাখতে ভালো ব্যবস্থা নেবে। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে প্রতি 1 ঘণ্টা পরপর 5 থেকে 6 মিনিট একটু হালকা হাটাহাটি পড়বেন।

তারপর খাবার খেয়ে অনেক বেশি পানি খেয়ে ফেলা বা দেখা যায় খাবারে মাঝখানে অতিরিক্ত পানি খেতে থাকে এই জিনিসগুলো অবশ্যই পরিহার করতে হবে। পেটের মেদ কমাতে সেক্ষেত্রে অবশ্যই পড়বেন 30 মিনিট পর পানি গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া খাদ্য তালিকা থেকে অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার বর্জন করতে হবে। আপনাদেরকে চেষ্টা করতে হবে দৈনিন্দন খাদ্য সুষম জাতীয় খাবার গ্রহণ করা এবং শাকসবজি খাওয়া।  লাইফস্টাইলে আপনাকে ব্যায়াম বা যে কোন এক্সারসাইজ করা শেখাতে হবে। আপনি সুইমিং করতে পারেন, সাইকেলিং করতে পারেন, জগিং করতে পারেন, এছাড়া ইউটিউব দেখে চাইলে আপনি বিভিন্ন পেটের জিম আছে সেগুলো ট্রাই করতে পারেন। তবে যাদের মতো বিভিন্ন সমস্যা আছে তারা চেষ্টা করেন একজন এক্সপার্ট পরামর্শ নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়া।

এরপর আপনাকে কিছু কথা বলব যেটা পেটের মেদ ঝরাতে অনেক বেশি সাহায্য করে থাকে। সে ক্ষেত্রে প্রথমেই হচ্ছে আপনার খাদ্য তালিকায় ফাইবার জাতীয় খাবার অ্যাড করতে হবে। সবুজ শাকসবজি ফলমূল হতে পারে। এছাড়া অ্যাপেল, সিডার, ভিনেগার আমাদের পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশী কার্যকর। সে ক্ষেত্রে আপনি খাবারের পরে ক্লাস পানিতে 1 চা চামচ আপেল, সিডার ভিনেগার মিক্স করে খেতে পারেন। তবে যাদের গ্যাস্ট্রিক আলসারের সমস্যায় ভুগছেন তারা অ্যাভয়েড করবেন। আরেকটা খাবার সকলে যুক্ত করে নিবেন সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা কুসুম গরম পানি খেতে পারেন। সেটা আপনার অনেক বেশী কার্যকর। জিরাপানি রয়েছে যেটা রয়েছে। এছাড়াও আপনি চাইলে প্রতিদিন ইসবগুলের ভুষি খেতে পারেন। এটি আপনার পেটের মেদ ঝরাতে অনেক বেশি হেল্প করে থাকে। এরপর যদি আসি টক দই টক তৈরি করে খেতে পারে। সেটাও কিন্তু আমাদের পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশি কার্যকর হবে।

এছাড়াও খাদ্যতালিকা ভিটামিন বি-১২ যুক্ত করে নিতে পারেন। এটি কিন্তু পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও মেদ কমানোর জন্য অবশ্যই লেবুর সরবত করে খাবেন।  এটি কিন্তু আমাদের পেটের মেদ কমাতে অনেক বেশী কার্যকর। সে ক্ষেত্রে আপনি চাইলে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস পানিতে এক চামচ মধু মিক্স করে খেতে পারেন। এই খাবারগুলো আপনার পেটের মেদ ঝরাতে অনেক বেশী সাহায্য করবে। এছাড়াও কিন্তু অতিরিক্ত রাত জাগা যাবে না। সঠিক সময়ে ঘুমানোর চেষ্টা করবেন। পেটের মেদ কমাতে নিজেকে আয়নায় বারবার না দেখে যে কাজগুলো করলে আপনার পেটের মেদ কমবে সেগুলো চেষ্টা করুন।  অবশ্যই একজন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

Post a Comment

Previous Post Next Post