দাঁত ক্ষয় হওয়ার কারণ জেনে নিন

দাঁতের ক্ষয় সাধারণত আমাদের প্রতিটা মানুষেরই একটি কমন সমস্যা। দাঁতের ক্ষয় হয় নি বা কখনো দাঁতের খয়ের সমস্যার সম্মুখীন হয়নি এরকম মানুষ খুবই কম। কারণ আপনার 32 টা দাঁত থাকলে 32 টা দাঁত এর মধ্যে কিছু না কিছু দাঁতে অবশ্যই প্রবলেম হবে। এই স্বাভাবিক সমস্যায় সম্মুখীন হলে অবশ্যই একজন ডেন্টাল সার্জনের শরণাপন্ন হন। সেখানে অনেক সময় এই সমস্যা থেকে পরিত্রান পেতে পারেন। সেটি কীভাবে হয় আমাদের সেই জিনিসটা সাধারনত অনেকেই বুঝতে পারেনা।  আসলে এই সমস্যাটি কিন্তু দিনের পর দিন  আপনাকে আক্রমণ করে আসছে। আপনারা যখন অবহেলা করতে থাকেন বা কোন ভুল ভাবে কোন কিছু মেইনটেইন করতে থাকে সে জিনিসটি থেকে এ রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও আপনার দাঁত ব্রাশ করা ভুল নিয়মে অনেকেই এসমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ইচ্ছামত অনেক জোরে জোরে ঘোষের দাঁত ব্রাশ করি। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানি না এটা করা মোটেও ঠিক নয়। অনেক লম্বা সময় নিয়ে ব্রাশ করি। কারো খেয়াল থাকেনা 10 মিনিট 15 মিনিট চলে যায়। সে ভাবে জোরে জোরে ঘষে ঘষে ব্রাশ করলে হয়তো বা খুব ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার হবে কিন্তু আসলে এটা মোটেও ঠিক না।

দাঁত ক্ষয় হওয়ার কারণ জেনে নিন

দিনের পর দিন যখন এভাবে ব্রাশ করতে থাকি তখন টুথব্রাশের এই বিষয়গুলোর উপর ঘর্ষণের কারণে দাঁতগুলো ক্ষয় হতে থাকে। আমাদের প্রথমে দাঁতের উপরের লেয়ার যেটি হালকা সাদা যেটি নাম হচ্ছে এনামেল। এনামেল ক্ষয় হয়ে একসময় দাঁতের ভিতরে যে অংশ থাকে যেটি সেটি পর্যন্ত ক্ষয় হয়ে যায় এবং অনেক সময় বিশেষ এক ধরনের ক্ষতের সৃষ্টি হয় যাকে বলা হয়ে থাকে  ইল্যুশন। এই সমস্যাটি ধাপে প্রতিনিয়ত টুথব্রাশের ঘোষণার কারণে হয়ে থাকে। এর সাথে সাথে দাঁতের ক্যারিজ হওয়া সম্ভাবনা কিন্তু থেকে যায়। এছাড়াও দাঁতের ক্ষয় এর প্রধান কারণ হলো এটি সাধারণত আমাদের মুখে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া থাকে তা থেকে দাঁতের ক্ষয় দেখা দিয়ে থাকে। আমরা যখন অনেক দীর্ঘ সময় দাঁত ব্রাশ করি না, ঠিকমতো পরিষ্কার করছি না,  খাওয়া-দাওয়ার পরে ভালোভাবে ব্রাশ করছি না তখন কিন্তু আমাদের মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে। সেটি আমাদের মুখে বিদ্যমান ল্যাকটিক এসিডের সংস্পর্শে এসে যে খাদ্য গুলো জমে থাকে সেগুলোতে ব্যাকটেরিয়াল কলোনাইজেশন এর মাধ্যমে দাঁতের ক্ষয় সৃষ্টি করে যাকে আমরা ক্যাভিটি বলি।এ ধরনের সমস্যা হলে দাঁত সাধারণত হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে আবার অনেকে সেটাকে দাঁতে পোকা হওয়া বলে থাকেন। কিন্তু আসলে পোকা বলতে কিছু নেই। দাঁতের ক্ষয় দাঁতের ক্ষয় ক্রমাগত বাড়তে থাকে, জায়গাটি কাল হতে থাকে হতে থাকে এবং সে জায়গায় খাবার আটকে যায়। এভাবে দাঁতের অংশটি দিনের-পর-দিন ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে।

এছাড়া অনেকগুলো কারণে কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। এ সমস্যাটি হলে কিন্তু মুখে লালা নিঃসরণ কমে যায়। যার ফলে মুখে বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পায় এবং মুখে ক্ষয় হতে থাকে। দাঁতের মধ্যে বিভিন্ন সংক্রমণ ঘটতে থাকে। তাছাড়া এসমস্যার অন্যতম কারণ, এর মধ্যে রয়েছে আঁকাবাঁকা দাঁতের সমস্যা। যাদের দাঁত আঁকাবাঁকা তাদের আমরা যখন ব্রাশ করি বৃত্তের চারপাশে পৌঁছায় না। যার কারণে তাদের প্রতিনিয়ত খাবার জমে থাকে এবং সেখান থেকে দিনের পর দিন এভাবে থাকার কারণে দাঁতের ক্ষয় হয়। এগুলো দাঁতের ক্ষয় এর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কারন গুলোর মধ্যে একটি। তাছাড়াও অনেকেরই অভ্যাস রয়েছে ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত কাটার সমস্যা থাকে। তিনি সাধারণত বুঝতে পারে না যে তার দাঁতে দাঁত কাটার সমস্যা রয়েছে। তার আশেপাশে যারা মানুষ তারা যদি একটু খেয়াল করে থাকেন তারা বলতে পারবেন যে তিনি রাতে ঘুমের মধ্যে দাঁত কেটে থাকেন। অনেকেরই থাকেন দাঁতে দাঁত চেপে চেপে ধরে রাখার একটি বিষয় থেকে থাকে। অনেকে সুতা কাটার কারন ক্রমাগত দিনের পর দিন আমাদের দাঁতগুলো ক্ষয় হতে থাকে। তাহলে আপনাদের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন হচ্ছে কি করলে আমরা দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধ করতে পারব?

একই নাম্বারে দাঁতের ক্ষয় দেখা দিলেই একজন অভিজ্ঞ ডেন্টাল সার্জনের শরণাপন্ন হওয়া। দাঁতের ক্ষয় বেশিরভাগ সময়ই চিকিৎসা করে ঠিক করা যায়। দাঁতের ক্ষয় দেখা দিলে সেগুলো যদি আমাদের অস্থি মজ্জার সাপ্লাই পর্যন্ত না গিয়ে থাকে সে ক্ষেত্রে এগুলো ফিলিং করে নিলেই হবে। এখন অনেক সুন্দর দাঁতের কালার সমঞ্জস্যপূর্ণ রেখেই কাজ করে যাচ্ছে। যেগুলো সম্প্রদায় কালারের সাথে ম্যাচিং করে করা হয় এবং কখনো বোঝা যাবেনা। চিকিৎসার পরে আপনার দাঁতে কখনো হয়েছিল তার সাথে সাথে আপনাদের যদি কিছু হয়ে থাকে সেটিই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী দাঁতের অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নাইটগার্ড ব্যবহার করা এবং আমাদের অবশ্যই অ্যালকোহল জাতীয় প্রত্যাহার করতে হবে। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যদি আপনার দাঁতের ক্ষয় হওয়ার কারণে সেনসিটিভিটি সমস্যা থেকে থাকে সেই অনুযায়ী অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

Post a Comment

Previous Post Next Post