বাংলাদেশের অতিসম্প্রতি জ্বালানি তেলের নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয়েছে। সরকার বলছে বিশ্ববাজারের সাথে তেলের দাম সমন্বয় করা এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বা বিপিসির লোকসান কমানোর জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু জ্বালানি বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফের শর্ত অনুযায়ী সরকারের জ্বালানি খাতে ভর্তুকি দেওয়া বন্ধ করতে চাইছে। কারণ যাই হোক না কেন, এমন এক সময় দেশে তেলের দাম বাড়ানো হলো যখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার চেয়েও বড় হতাশার বিষয় হলো এক লাফে প্রায় 50 শতাংশের উপরে দাম বৃদ্ধি। দেশের অর্থনীতিকে হুমকির মুখে। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে 34 শতাংশ এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় 30 কোটি টাকা ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার পর কি করবে। ব্যারেল প্রতি জ্বালানি তেলের দাম 94 ডলারে কিনেছে। ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সরকার বলছে এর জন্য আন্তর্জাতিক মূল্যস্ফীতির কারণে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি। সাধারণ জনগণের জীবন আগে থেকেই নাজেহাল। এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধি দেশের মানুষের উপর অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কম্পানি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। ভাবে দেশের জ্বালানি তেল আমদানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড ও যমুনা অয়েল কোম্পানী নামে তিনটি বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান। পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন দৈনিক 77 কোটি টাকা লোকসানের কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হিসেবে দেশের জনগণের কাছে বিশ্ববাজারের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করেছে। ফলে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন হিসেবে দাঁড়িয়েছে দেশের বাজারে দাম কমানো হয়নি। 2018 সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ফিক্স ডিপোজিটে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এর নামে এখনো প্রায় 30 হাজার কোটি টাকা রয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে বিতরণ কোম্পানি মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কোম্পানির 13 হাজার কোটি টাকা ব্যাংক আমানত রয়েছে। অথচ এর আগে গত বছরের নভেম্বরে বিপিসির লোকসান কথা বলে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়। বিগত বছরগুলোতে পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন মুনাফা করেছে তাতে তেলের দাম না বাড়িয়ে দৈনিক 77 কোটি টাকা লোকসান করে মুনাফার টাকা দিয়ে বিবিসি প্রায় 21 মাস জ্বালানি সরবরাহ করতে পারো। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা 450 কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা চেয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে বাংলাদেশের রিজার্ভ চাঙ্গা করতে এবং মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে এই অর্থ কাজে লাগানো হবে। আগামী তিন বছরে এই পরিমাণ অর্থ দিতে সম্মত হয়েছে কিন্তু সেই সাথে কিছু শর্ত জুড়ে দেয়। চূড়ান্ত না হলেও প্রাথমিক আলোচনা থেকে প্রধানত পাঁচটি শর্ত মানতে হবে। এসবের অংশ হিসেবেই জনগণকে আগে থেকে কিছু না জানিয়েই তেলের দাম বাড়ানো হলো। বাংলাদেশের চলতি অর্থবছরের বাজেটে 82 হাজার 745 কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে । একটি বড় অংশই জ্বালানি তেল গ্যাস ও বিদ্যুতের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। আর একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এসেছিল তারা সরকারকে এই ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়েছে। বিশ্লেষকরা ধারণা করছেন আইএমএফ এর সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে সরকার তাদের শর্ত পূরণ করে নিল এর মধ্য দিয়ে। সরকার একটি বাধা দিলে তারা দাতাসংস্থার সড়কের ব্যাপারে অর্থনীতিবিদরা বলছেন,জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর ছিল অপরিহার্য। তবে একবারে এতটা দাম না বাড়িয়ে আগে থেকে ধীরে ধীরে বাড়ালে জনগণকে এত বড় ধাক্কা দিতে হতো না।
এই অবস্থায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অর্থনীতিবিদরা বলছেন সরকার জ্বালানি তেল আমদানি ও বিপণনের বিভিন্ন পর্যায়ের পরিমাণ কমিয়ে সাধারন মানুষের উপর চাপ কমাতে পার্থ প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলতি বছরের মার্চ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে মাত্র 13 দিনের ব্যবধানে এগারোবার তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি জনগণের উপর যেন বোঝা না হয় সেজন্য দাম বাড়ানোর আগে ভারতের উল্লেখযোগ্য হারে কর কমানো হয়েছে ডলারের বিপরীতে। টাকার মান কমে যাওয়া দেশের বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতি। সেইসাথে ব্যাংকের আমানতের উপর সুদের হার কমিয়ে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক খানিকটা চাপের মধ্যে রয়েছে। এর ফলে আপনি যে ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন না কেন আপনার টাকার পরিমাণ কমে যাচ্ছে। অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা রাখে নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়ার জন্য। যারা সুদের প্রতি খুব একটা আগ্রহী নয় তাদের আসলে ব্যাংকে টাকা রাখার ফলে প্রকৃত মূলধন কমে যাচ্ছে।
মানুষ দুটি কারণে ব্যাংকে টাকা রাখেন।
- প্রথমত ব্যাংকে টাকা জমা রেখে নির্দিষ্ট হারে সুদ পাওয়ার জন্য।
- দ্বিতীয়তো ঘরে টাকা রাখার চেয়ে ব্যাংকে টাকা রাখা নিরাপদ মনে করে।
এখন আপনি যে কারণেই ব্যাংকে টাকা জমা রাখেন না কেন আপনার টাকা পরিমাণ কমে যাবে। এর কারণ হলো বাংলাদেশ ব্যাংক আমানতের উপর সুদের হার কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে টাকার মান কমে গেছে এবং ক্রমাগত মূল্যস্ফীতি করছে। অনেকেই ব্যাংকে টাকা জমা রেখে সেই টাকা থেকে যে সুবিধা দিয়ে সংসার চালায়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই জাতীয় লোকেরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া যাদের প্রতি খুব একটা আগ্রহী নয় তাদেরও আসলে ব্যাংকে টাকা রাখার ফলে প্রকৃত মূলধন কমে যাচ্ছে। ব্যাংকে টাকা জমা রাখলে টাকা কিভাবে কমে যায় বাংলাদেশ ব্যাংক গত বছর একটি নির্দেশনা দিয়েছিল এতে বলা হয়। আমানতের সুদের হার কম হতে পারবে না। কিন্তু বর্তমানের সুদের হার এত কমে গেছে যে ব্যাংকে টাকা রাখলে সুদ আসে তা দিয়ে মূল্যস্ফীতির ঘাটতি পূরণ করা কোনভাবেই সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে আমানতের সুদের হার সর্বোচ্চ 6 শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। এর উপর বিভিন্ন মাহফিল কাপড় সুদের হার দাঁড়িয়েছে 4.02 শতাংশ কিন্তু গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে 5.5% ফলে ব্যাংকে টাকা রাখলে তা কমে যাচ্ছে। বিষয়টি আরো সহজ করে বলতে গেলে মনে করুন আপনি ব্যাংকে 100 টাকা জমা রেখেছে সুদের হার 6 শতাংশ হলে বছর শেষে আপনি 106 টাকা পাবেন। কিন্তু মূল্যস্ফীতির হারও যদি হয় 6% তাহলে 100 টাকায় একশ ছয় টাকা পেয়ে আপনার কোন লাভ নেই কারণ আগে যে পণ্য আপনি 100 টাকায় কিনলেন এখন সেই পণ্য কিনতে আপনার 106 টাকা খরচ করতে হচ্ছে। তার মানে ব্যাংকে টাকা জমা সেই টাকা থেকে আসলে আপনার কোন আর হবেনা কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন কারণ মূল্যস্ফীতির প্রকৃত হার ব্যাংকের সুদের হারের চেয়ে অনেক বেশি।
সে ক্ষেত্রে মনে করুন আপনি 100 টাকা জমা রেখে 106 টাকা পেলেন কিন্তু বাস্তবে সকল পণ্যের দাম বেড়েছে 10% আগে আপনি যে পণ্য কিনতে 100 টাকায় কিনতে 110 টাকা খরচ করতে হচ্ছে তাহলে ব্যাংকে টাকা রাখা আপনার জন্য নেতিবাচক উপার্জন হবে। অর্থাৎ আপনার টাকা থেকেই না উল্টো কমে যাবে বর্তমানে 5 লাখ টাকায় বছরে 30 থেকে 32 হাজার টাকা সুদ পাওয়া যায়। যতটুকু সুদ আসে তার সবটাই আবার গ্রাহক হাতে পায় না। সুদের মধ্যে থেকে কর হিসেবে সাড়ে চার হাজার টাকা কেটে নেয়া হয়। তবে ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা টিআইএন থাকলেই 3000 টাকা কাটা হয়। ব্যাংক একাউন্ট পরিচালনার জন্য সর্বনিম্ন 200 থেকে 500 টাকা ফি দিতে হয়। এছাড়া চেক বই এবং এটিএম কার্ড ডেবিট ক্রেডিট কার্ডের জন্য আরো 300 থেকে 600 টাকা কাটা হয়। এর বাইরে প্রতিবছর সরকার আবগারি শুল্ক হিসেবে আরো 500 টাকা কেটে নেয়। তার মানে আপনি আপনার কাংখিত বানান টেক্স ব্যাংকের চার্জ এবং সরকারের শুল্ক বাবদ একটি অংশ কেটে রাখা হবে। এর বাইরে টাকার মূল্য কমে যাওয়ার কারণে আমানতকারী যে পরিমাণ টাকা রাখছেন বছর শেষে পাচ্ছেন তার চেয়ে কম। সে কারণে ব্যাংকে টাকা রেখে এখন আর প্রকৃত অর্থে লাভবান পারছেন না। এমন হিসেবে আপনি ঋণগ্রহীতা হিসেবে আপনাকে বেশি সুদ দিতে হবে। আপনি 00 টাকা জমা রাখলে আপনি চার টাকার কিছু বেশি সুদ পাবেন সুদের হার কমে যাওয়ার পর অনেকেই আগ্রহী হয়ে ওঠে। সঞ্চয়পত্রের সুদের হার তুলনামূলক বেশি হওয়ার কারণে গত কয়েক বছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি মানুষ সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ করে ফলে। সরকারকে ধারণার চেয়েও অনেক বেশি সুদ দিতে হয়। এমন অবস্থায় গত বছর থেকে সঞ্চয়পত্র কেনার জন্য ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার এবং ব্যাংক একাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। এর পাশাপাশি 5 শতাংশ থেকে বাড়িয়ে 10% করা হয়। এত সব ঝামেলার কারণে নতুন করে সঞ্চয় পত্র করতে আগ্রহ হারিয়েছেন।
বিশ্বের অনেক দেশেই শেয়ারবাজার শক্তিশালী। বিদেশে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার মত মানুষ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার কিনে লাভবান হওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশের শেয়ার বাজারের শক্তিশালী ভিত্তির উপর দাঁড় করানোর অভিযোগ অনেকেই পড়েছেন। অনেকে আবার বেশি লাভের আশায় এমএলএম কোম্পানি ধরনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করছেন। তাদের সম্পূর্ণ টাকা হারানোর ঝুঁকিতে পড়েছেন। বিকল্প বিনিয়োগের জায়গা না পেয়ে সুদ কম হলেও ঘুরেফিরে সাধারন মানুষ ব্যাংকে টাকা রাখছে। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিবেচনা করা হয় তাহলেও ব্যাংকে টাকা রেখে 21 সালে ব্যাংক খাতের আমানত ছিল 15 লক্ষ 12473 কোটি টাকা। সমীক্ষার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায় প্রতিবছর গড়ে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকা করে আমানত বাড়ছে। তার মানে গত কয়েক বছরে ব্যাংকে টাকা রেখে মানুষ প্রকৃত লাভবান না হলেও ব্যাংকে টাকা জমানোর পরিমাণ কমেনি বরং বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে গত এক মাসের ব্যবধানে ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে 5 শতাংশের বেশি। আর এক বছরের ব্যবধানে কমেছে 10 দশমিক 80 শতাংশ। এক বছরে এক লাখ টাকা ব্যাংকে গচ্ছিত রেখে আমানতকারী যে পরিমাণ টাকা দিয়েও আগের দামে কোন পণ্য বা সেবা কেনা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেশে মূল্যস্ফীতির হার 6 দশমিক 22 শতাংশ। কিন্তু অর্থনীতিবিদরা বলছেন বাস্তবতার সঙ্গে এর কোন মিল নেই। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যস্ফীতির হার অনেক বেশি। যেমন ভোজ্যতেলের দাম 100 শতাংশের উপরে এবং আটা ময়দার মতো পণ্যের দাম 58 শতাংশ বেড়েছে সার্বিকভাবে মাছ মুরগি ডিম সহ অন্যান্য পণ্যের।
দাম বাড়ার সরকারের পক্ষ থেকে দেখানো হয়েছে বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো জাতীয় পর্যায়ের মূল্যস্ফীতির হার ব্যক্তি পর্যায়ের মূল্যস্ফীতি একরকম নয়। নিম্নআয়ের পরিবারগুলো তাদের খাদ্য কিন্তু আগের চেয়ে অনেক বেশি ব্যয় করছে। তাদের কাছে অন্য সকল পণ্যের মূল্যস্ফীতির চেয়ে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি টাই সবচেয়ে বেশি। গুরুত্বপূর্ণ অর্থনীতি বিশ্লেষকদের মতে, কোন সমস্যা তৈরি হবার পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্য।বস্থা গ্রহণ করে এতে করে তেমন একটা সুফল পাওয়া যায় না। সেজন্য কোন সমস্যা তৈরি হবার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এছাড়া অর্থনীতিবিদেরা মনে করেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি গুলোতে বড়লোকেরা লাভবান হয়। এতে গরিবদের কোন অসুবিধা হয় না। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি-বেসরকারি এবং বিদেশি মিলিয়ে 58 টি ব্যাংক রয়েছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের আমানত সংগ্রহের দিক থেকে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংকগুলো থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে। যারা সুদ মুক্ত ব্যাংকিং চান তারা ইসলামী ব্যাংক গুলোর দিকে ঝুঁকছে। তবে ইসলামী ব্যাংকে আমানত রাখলেও মুনাফা দেওয়া হয়। এই মুনাফা নিয়ে বিতর্ক আছে।